সাতক্ষীরা উপকূলের নদ-নদীতে জোয়ারের পানি বৃদ্ধি
বঙ্গোপসাগরে গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপকূলের নদ-নদীগুলোতে স্বাভাবিকের চেয়ে জোয়ারের পানি বাড়তে শুরু করেছে। ঝড়ো বাতাসের সঙ্গে উপকূলের জরাজীর্ণ বেড়িবাঁধের ওপর আচড়ে পড়ছে পানির স্রোত। এতে আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েছে উপকূলের মানুষ।
শ্যামনগর উপজেলার উপকূলবর্তী গাবুরা, পদ্মপুকুর, আটুলিয়া, বুড়িগোয়ালিনী, কৈখালী, রমজাননগর ও মুন্সিগঞ্জ এলাকায় নদীপাড়ের বসবাসকারীদের কাছ থেকে জানা গেছে, দুপরে জোয়ারের স্বাভাবিকের চেয়ে নদীতে দুই থেকে তিন ফুট পর্যন্ত পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।
বিজ্ঞাপন
উপজেলার আটুলিয়ার জুবায়ের মাহমুদ জানান, উপকূলীয় এলাকায় সকাল থেকেই ঝড়ো বাতাস বইছে। দুপুরের জোয়ারে খোলপেটুয়া নদীতে স্বাভাবিক জোয়ার ছাড়া ২-৩ ফুট পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। উত্তাল হতে শুরু করেছে নদী। সঙ্গে মাঝে মাঝে বৃষ্টি হচ্ছে।
গাবুরা ইউনিয়নের হুদা মালি জানান, সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাব ও পূর্ণিমার জোয়ারের কারণে খোলপেটুয়া ও কপোতাক্ষ নদীতে স্বাভাবিক জোয়ার ছাড়া ২-৩ ফুট পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে গাবুরার পরিস্থিতি এখনো পর্যন্ত স্বাভাবিক রয়েছে।
বিজ্ঞাপন
ইতোমধ্যে শ্যামনগর উপকূলের চুনা নদীতে জোয়ারের পানি কয়েক ফুট বৃদ্ধি পাওয়ায় কলবাড়ি জেলেপাড়ায় বসবাসকারী ১৩টি জেলে পরিবারের বসত ঘরের আঙিনায় জোয়ারের পানি ওঠার খবর পাওয়া গেছে।
শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাজিবুল আলম বলেন, শ্যামনগর উপজেলার আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এ ছাড়া প্রয়োজনে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও অন্যান্য বহুতল ভবন নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য ব্যবহার করা হবে।
এছাড়া, জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় শুকনা খাবারসহ প্রয়োজনীয় ত্রাণসামগ্রী মজুত আছে। আমরা ঘূর্ণিঝড়ের সতর্কবার্তা দেখে সবাইকে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করব। তবে সবার জন্য বলব, কেউ যেন ঝুঁকি নিয়ে অনিরাপদ আশ্রয়ে না থাকেন।
মোহাম্মদ মিলন/এমএএস