ঘূর্ণিঝড় রেমাল আতঙ্কে কাঁপছে পটুয়াখালী উপকূল। রোববার (২৬ মে) পায়রা বন্দরে ১০ নম্বর বিপদ সংকেত দেওয়ার পর থেকে উপকূলের সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

এদিকে বেড়িবাঁধের বাইরে থাকা কুয়াকাটা সৈকত লাগোয়া বসতবাড়িসহ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও ধর্মীয় উপাসনালয় জলোচ্ছ্বাসের ঝুঁকিতে রয়েছে। ইতোমধ্যে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে মালামাল। তবে মসজিদ-মন্দিরের কোনো কিছু সরানো হয়নি। 

এ বিষয়ে কুয়াকাটা শ্রী শ্রী রাধা কৃষ্ণ মন্দিরের সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার নীহার রঞ্জন মন্ডল বলেন, আমাদের মন্দিরের সামনে অস্থায়ী একটি বেড়িবাঁধ রয়েছে। তবে এটি যে কোনো সময় বিলীন হয়ে যেতে পারে। ইতোমধ্যে আমাদের মন্দিরের ভেতরে পানি ঢুকে গেছে। এখানে দুটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে একটি মসজিদ ও একটি মন্দির। আমাদের জোর দাবি হচ্ছে দুটি প্রতিষ্ঠানের সামনেই স্থায়ীভাবে বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা হোক।

কুয়াকাটা সাগর সৈকত জামে মসজিদের মোয়াজ্জিন হারুনুর রশিদ বলেন, আমাদের মসজিদের দেয়ালে সমুদ্রের ঢেউ এসে লাগছে। ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডব বাড়লে পানি মসজিদ পর্যন্ত চলে আসতে পারে। আমরা বিশ্বাস করি আল্লাহর ঘর আল্লাহ রক্ষা করবেন। তবে মসজিদের সামনে একটি স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করার অনুরোধ করছি। 

কুয়াকাটা পৌরসভার মেয়র মো. আনোয়ার হাওলাদের বলেন, কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতের জিরো পয়েন্টে গুরুত্বপূর্ণ দুটি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান হলো মসজিদ এবং মন্দির। এই প্রতিষ্ঠান দুটি রক্ষা করা আমাদের সকলের দায়িত্ব। ইতোমধ্যে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ মসজিদ ও মন্দিরের সামনে অস্থায়ীভাবে একটি বাঁধ নির্মাণ করেছে। তবে ভবিষ্যতে এখানে স্থায়ী একটি বাঁধ নির্মাণ করার বিষয়টি আমারা ভাবছি। ঘূর্ণিঝড় রেমালে কোনো ক্ষয়ক্ষতি হলে সেটি গুরুত্বের সঙ্গে আমরা দেখবো। 

এসএম আলমাস/আরএআর