ঘূর্ণিঝড় রেমাল : সোনাগাজীতে অর্ধকোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি
ঘূর্ণিঝড় রেমালের কারণে ফেনীর উপকূলীয় উপজেলা সোনাগাজীতে গাছপালা, ঘরবাড়ি, জমির ফসল ও বৈদ্যুতিক লাইনে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। মঙ্গলবার (২৮ মে) এতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করেছে উপজেলা প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট দপ্তর। ঘূর্ণিঝড়ে এ উপজেলায় ৫৩ লাখ ৭০ হাজার টাকার সম্পদহানির কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, ঘূর্ণিঝড়ে সোনাগাজী উপজেলায় ৮৭টি ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে ৩১ লাখ টাকার বেশি ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া বিদ্যুৎ বিভাগের ১০ লাখ টাকা, কৃষিতে ৪ লাখ টাকার ফসলের ক্ষতি হয়েছে। উপজেলায় ১৮ কিলোমিটার বনাঞ্চলসহ ৫৪ হাজার টাকার গাছপালা, মৎস্য বিভাগের ১৯ লাখ ৭০ হাজার টাকা এবং ৩৫টি পুকুরে সাড়ে ১০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
উপজেলা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডিজিএম বলাই মিত্র বলেন, উপজেলায় ১৩১টি স্থানে লাইনে গাছ পড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়াও ৬টি ট্রান্সফরমার, ৬১টি মিটার ও বিভিন্ন বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম মিলিয়ে ১০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মাঈন উদ্দিন বলেন, মাঠে ফসল না থাকায় ক্ষতির পরিমাণ কম। তবুও বিভিন্ন সবজিসহ ৫ হেক্টর জমির সাড়ে ৪ লাখ টাকার ফসলের ক্ষতি হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
এলজিইডির উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুল কাদের মোজাহিদ বলেন, গাছ উপড়ে বেশ কয়েকটি সড়কের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তার মধ্যে আনুমানিক ৫ লাখ ২৫ হাজার টাকার ক্ষতি নিরূপণ করা হয়েছে। এছাড়াও দুইটি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও একটি মসজিদ আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
রোববার (২৬ মে) মধ্যরাত থেকে ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে সোনাগাজীতে ঝোড়ো বাতাস ও বৃষ্টি শুরু হয়। তীব্র বাতাসে বিভিন্ন স্থানে বৈদ্যুতিক খাম্বা উপড়ে পড়ে ৩০ ঘণ্টার বেশি সময় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন ছিল লাখো মানুষ। সোমবার দুপুরের দিকে জোয়ারের পানিতে উপজেলার চরখোন্দকার, জেলেপাড়া ও দক্ষিণ-পূর্ব চরচান্দিয়া এলাকার বেড়িবাঁধ ও নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়। লোকালয়ে প্রবেশ করে লবণাক্ত পানি।
সোনাগাজী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কামরুল হাসান বলেন, উপজেলায় ঘূর্ণিঝড় রেমালের কারণে অর্ধকোটি টাকার বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সরকারিভাবে যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে তা ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে বিতরণ করা হচ্ছে।
তারেক চৌধুরী/এমএ