উপজেলা পরিষদ নির্বাচন
ভোটের ২০ দিন পর কেন্দ্রে পাওয়া গেল ২১০০ ব্যালট পেপার
জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ২০ দিন পর একটি ভোটকেন্দ্রে ২ হাজার ১০০টি খালি ব্যালট পেপার পাওয়া গেছে। ২৮ মে উপজেলার আকলাস শিবপুর শ্যামপুর দ্বি-মুখী উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে এসব ব্যালট পেপার পাওয়া যায়।
বুধবার (২৯ মে) ওই কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার ব্যালট পেপারগুলো নিয়ে এসে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে বুঝিয়ে দেন। জেলা নির্বাচন অফিসার ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. ফজলুল করিম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বিজ্ঞাপন
খালি ব্যালট পেপারের মধ্যে চেয়ারম্যান প্রার্থীর ব্যালট ছিল ৭০০টি, ভাইস চেয়ারম্যানের ৭০০টি ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীদের ব্যালট ছিল ৭০০টি। পরে ব্যালটগুলো ওই কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার তানজির আহমেদ সাকিব নিয়ে গিয়ে নির্বাচন অফিসে জমা দেন।
মঙ্গলবার (২৮ মে) আকলাস শিবপুর শ্যামপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের একটি আলমারি খোলা হয়। অফিস সহায়ক আলমারির ভেতরে একটি বস্তা দেখে তা খুলে ভেতরে অব্যবহৃত ২১টি ব্যালট পেপারের বই দেখেন। তিনি প্রধান শিক্ষককে বিষয়টি জানান। প্রধান শিক্ষক আজিজুল হাসান ঘটনাটি ইউএনওকে জানান। এরপর খবর পেয়ে বুধবার সকালে ওই কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার ক্ষেতলাল সরকারি ছাঈদ আলতাফুন্নেছা কলেজের প্রভাষক তানভির আহমেদ সাকিব বিদ্যালয়ে গিয়ে ব্যালট পেপারগুলো নিয়ে আসেন। এরপর তিনি উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে সেগুলো জমা দেন।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন
প্রধান শিক্ষক আজিজুল হাসান সাংবাদিকদের বলেন, ভোটের পর আমরা মঙ্গলবারে আলমারি খুলেছি। আলমারির ভেতরে একটি বস্তায় অব্যবহৃত অনেকগুলো ব্যালট পেপার বই পেয়েছি। ইউএনওকে ঘটনা জানানোর পর বুধবার সকালে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা বিদ্যালয়ে এসে ব্যালট পেপারগুলো নিয়ে গেছেন।
ব্যালট পেপার পাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে ওই কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ক্ষেতলাল সরকারি ছাঈদ আলতাফুন্নেছা কলেজের প্রভাষক তানভির আহমেদ সাকিব ঢাকা পোস্টকে বলেন, ভোটের দিন আমার সাথে থাকা আনসারদের এসব তুলে নিতে বলেছিলাম। তারা মিসিং করে একটি বস্তা ছাড়া পড়ে। তিনটি পদের ৭টি করে ২১টি বইয়ের ব্যালট পেপারগুলো অব্যবহৃত। এখানে কোনো ধরনের সিল বা অন্য কিছু নেই। এটা ভুলক্রমে ছাড়া পড়েছে। বুধবার সেগুলো এনে নির্বাচন অফিসে জমা দিয়েছি।
ক্ষেতলাল উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আফতাবুজ্জামান আল ইমরান ঢাকা পোস্টকে বলেন, আকলাস শিবপুর শ্যামপুর উচ্চ বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্র থেকে অব্যবহৃত ব্যালট পেপার পাওয়ার কথা জেনেছি।
জেলা নির্বাচন অফিসার ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. ফজলুল করিম ঢাকা পোস্টকে বলেন, ভোটকেন্দ্রে যেসব ব্যালট পেপার পাওয়া গেছে সেগুলো অব্যবহৃত। ওই কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার সেগুলো নির্বাচন অফিসে জমা দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার তাকে ডাকা হবে। এটি কেন হলো, সেটি জানতে ওই প্রিসাইডিং অফিসারকে জিজ্ঞাসা করা হবে।
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে গত ৮ মে ক্ষেতলাল উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই উপজেলায় দোয়াত-কলম প্রতীকে ৩০ হাজার ৪০০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন দুলাল মিয়া সরদার। ভাইস চেয়ারম্যান পদে টিউবওয়েল প্রতীকে মতলুব হোসেন ২৪ হাজার ৬১৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। আর মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে সেলাই মেশিন প্রতীকে নুরুন্নাহার গুন্নাহ ৩৭ হাজার ৩৭০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন।
এমএ