ঘূর্ণিঝড় রেমাল
বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন এলাকায় কাজ করার সময় বিদ্যুৎ কর্মীর মৃত্যু
সারা জীবন অন্যের ঘরে আলো পৌঁছে দেওয়ার কাজ করতেন লিটন বিশ্বাস। তবে আজ নিজেই চলে গেলেন চিরস্থায়ী অন্ধকার ঘরে। পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার কুয়াকাটায় বৈদ্যুতিক খুঁটিতে উঠে কাজ করার সময় কোমরের বেল্ট খুলে গিয়ে নিচে পড়ে মারা যান বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মচারী লিটন বিশ্বাস (৩৫)।
গতকাল বুধবার (২৯ মে) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় উপজেলার আলীপুর বাজারের থ্রি পয়েন্ট এলাকার বিসমিল্লাহ রোড সংলগ্ন এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কলাপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডাক্তার পুনম।
বিজ্ঞাপন
লিটন বিশ্বাস পটুয়াখালী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কুয়াকাটা সাব জোনাল অফিসের বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগে কর্মরত ছিলেন। তার বাড়ি বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঘূর্ণিঝড় রেমাল তাণ্ডবের কারণে উপকূলের অধিকাংশ এলাকার বিদ্যুতের খুঁটি ও তারের ক্ষয়ক্ষতি হয়। গত তিনদিন ধরে দিনরাত নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছিলেন বিদ্যু বিভাগের কর্মীরা। এরই ধারাবাহিকতায় বুধবার সন্ধ্যার পরে কুয়াকাটার আলিপুর থ্রি পয়েন্ট এলাকায় বিদ্যুতের খুঁটির ওপরে কাজ করতে উঠেছিলেন তিনি। এ সময় বিদ্যুতের খুঁটির সঙ্গে কোমরের বেল্ট বাঁধার মুহূর্তে অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে সেটি খুলে নিচে পড়ে যান তিনি। এতে তিনি মেরুদণ্ড, মাথায় ও বুকে আঘাত পান। সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয়রা উদ্ধার করে তাকে নিয়ে যায় হাসপাতালে। কিন্তু তিন ঘণ্টা চিকিৎসা শেষে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
বিজ্ঞাপন
এ ঘটনায় পটুয়াখালী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কুয়াকাটা সাব জোনাল অফিসের এজিএম মোতাহার হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, দুর্ঘটনাকালীন মুহূর্তে ওই খুঁটি ও লাইনের বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করা ছিল। খুঁটির সঙ্গে কোমরের বেল্ট বাঁধার সময় সাবধানতা অবলম্বন না করায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
এ বিষয়ে কলাপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাক্তার পুনম বলেন, পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের এক কর্মচারীকে নিয়ে এলে আমরা চিকিৎসা শুরু করি। তবে তার মেরুদণ্ড, মাথা ও বুকে অনেক আঘাত ছিল। আমাদের প্রাথমিক চিকিৎসা শেষ হতে না হতেই তিনি মারা যান।
কলাপাড়া থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ আলী আহমেদ জানান, পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের এক কর্মচারীর মৃত্যুর ঘটনা আমরা ইতোমধ্যে শুনেছি। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে ফোন দিয়ে জানানো হয়েছে আমাকে।
এসএম আলমাস/এমএএস