প্রায় এক কোটি টাকা বকেয়া বিদ‌্যুৎ বিল পরিশোধ না করায় কুষ্টিয়ার কুমারখালী পৌরসভা কার্যালয়ের মূল ভবনের বিদ‌্যুৎ সং‌যোগ বি‌চ্ছিন্ন করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৩০ মে) দুপুরের দিকে কুমারখালী ওয়েষ্টজোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ওজোপাডিকো) কর্তৃপক্ষ পৌর ভব‌নের বিদ‌্যুৎ সং‌যোগ বি‌চ্ছিন্ন করে দেয়।

ওজোপাডিকো কুমারখালী কার্যালয়ের উপ-সহকারী প্রকৌশলী নুর ইসলাম রুবেল এবং কুমারখালী পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী ওয়াহিদুর রহমান এ তথ‌্য নি‌শ্চিত করেছেন।

ওজোপাডিকো ও পৌরসভা সূত্রে জানা গেছে,  এক কোটি ২৮ লাখ ৬৮ হাজার টাকা বিদ্যুৎ বিল বকেয়া থাকার কারণে বৃহস্পতিবার দুপুর পৌনে একটার দিকে পৌরসভার কার্যালয়সহ ভবনের ছয়টি প্রি-পেইড মিটারের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয় কুমারখালী ওজোপাডিকো। এ নিয়ে বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে পৌরসভার মেয়র, কাউন্সিলর ও তাদের সহযোগীদের বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আমিরুল আরাফাত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন এবং পৌরসভার কার্যালয়ে উভয়পক্ষকে নিয়ে বৈঠক করেন। দেড় ঘণ্টা পর দুপুর ২টা ১০ মিনিটে ছয়টি মিটারে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয় কর্তৃপক্ষ।

তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওজোপাডিকো'র এক কর্মকর্তা বলেন, কুমারখালী পৌরসভায় প্রায় এক কো‌টি টাকা বিল বকেয়া রয়েছে। বারবার তা‌গিদ দিলেও পৌর কর্তৃপক্ষ বিল পরিশোধ কর‌ছিল না।‌ এ অবস্থায় আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত মোতাবেক পৌর ভবনের বিদ‌্যুৎ সংযোগ বি‌চ্ছিন্ন করা হয়েছে। তারা বিল পরিশোধ করলে পুনরায় সং‌যোগ দেওয়া হবে।

পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী বলেন, বকেয়া বিলগুলো ২০১০ সাল থেকে ২০২১ সালের, বর্তমানে প্রিপেইড সিস্টেমের আওতায় পৌরসভার বিদ্যুৎ সংযোগ। আগের বকেয়া বিলের অনেক বিল পরিশোধ করা হয়েছে। পা‌নির বিলসহ পৌরবাসী বি‌ভিন্ন সেবা খাতের বিল নিয়‌মিত পরিশোধ করছে না। রাজস্ব সংকটে পৌরসভার বিদ‌্যুৎ বিল বকেয়া পড়েছে। দ্রুত বিদ‌্যুৎ বিল পরিশোধ করে সং‌যোগ চালুর ব্যবস্থা করা হবে। বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করায় ভোগান্তিতে পড়েছে পৌর কর্তৃপক্ষ ও পৌরবাসী। 

এ বিষয়ে কথা বলার জন্য কুমারখালী পৌরসভার মেয়র মো. সামছুজ্জামান অরুনের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।  

রাজু আহমেদ/এমজে