পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ, গুলি-টিয়ারশেল নিক্ষেপ
কুষ্টিয়ায় পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষ হয়েছে। শনিবার (৮ জুন) বিকেল ৪টার দিকে সদর উপজেলার বটতৈল ইউনিয়নের কবুরহাট সর্দার পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে পুলিশ। এতে বিএনপির ১০-১২ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, পুলিশের অনুমতি না নিয়েই শনিবার বিকেলে বিএনপি নেতাকর্মীরা কবুরহাট এলাকায় কর্মসূচির আয়োজন করে। সমাবেশে যোগ দিতে বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদলসহ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা কর্মসূচিস্থলে আসতে থাকেন। বিএনপি নেতাকর্মীরা নিজেদের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে বিশৃঙ্খলা ঘটাতে পারে এমন তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ সেখানে যায়। এ সময় পুলিশকে লক্ষ্য করে বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা ইট পাটকেল ছুড়তে থাকে। এতে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বেধে যায়।
বিজ্ঞাপন
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কয়েক রাউন্ড গুলি ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। প্রায় ৩০ মিনিট চলা সংঘর্ষে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে পুলিশের কঠোর পদক্ষেপে ঘটনাস্থল থেকে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা পালিয়ে যায়।
এ বিষয়ে জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক প্রকৌশলী জাকির হোসেন সরকার বলেন, বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের সান্ত্বনা দেওয়ার জন্য কেন্দ্র থেকে নেতাদের একটি দল কুষ্টিয়ায় আসেন। তাদের নিয়ে পুলিশের মৌখিক অনুমতিতে শহরের নবীন টাওয়ারে এক সমাবেশের আয়োজন করেছিলাম। বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগ তুলে অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার আগে পুলিশ আমাদের সমাবেশ বন্ধ করতে বলে। ছোট পরিসরে অন্য কোথাও করার জন্য বলা হয়। সেই মোতাবেক কবুরহাটে অবস্থিত যুবদল নেতা মজিদের বাড়িতে কেন্দ্রীয় নেতাদের নিয়ে যাই। সেখানেও পুলিশ গিয়ে নেতা-কর্মীদের মারধর শুরু করে। এ সময় নেতা-কর্মীরা উত্তেজিত হয়ে কয়েকটা ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে। এরপরেই পুলিশ নেতা কর্মীদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। এতে প্রায় ১০ থেকে ১২ জন আহত হয়েছেন।
বিজ্ঞাপন
কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ সোহেল রানা ঢাকা পোস্টকে বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কয়েক রাউন্ড গুলি চালানো হয়েছে। এ ঘটনায় কাউকে আটক করা যায়নি। ২৩টি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে। ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। অপ্রীতিকর যে কোনো ঘটনা প্রতিরোধে পুলিশ কাজ করছে। ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। অপরাধীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) পলাশ কান্তি নাথ বলেন, বিএনপির নেতাকর্মীরা অনুমতি ছাড়াই কর্মসূচি আয়োজন করেছিল। কর্মসূচিস্থলে পুলিশ দেখে বিএনপি নেতা-কর্মীরা ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে যে ধরনের ব্যবস্থা প্রয়োজন ছিল তা নিয়েছে।
রাজু আহমেদ/এমএএস