মুন্সীগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলার দ্বিপাড়া গ্রামে সরকারি জমিতে বেড়া দিয়ে ৫ পরিবারকে এক সপ্তাহ ধরে অবরুদ্ধ করে রাখার অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার দ্বিপাড়া গ্রামের বাসিন্দা নুর মোহাম্মদ ভূমিহীন কোঠায় সরকার থেকে পাওয়া জমিতে বেড়া দিলে পরিবারগুলো অবরুদ্ধ হয়ে যায়।

ভুক্তভোগীরা হলেন হাসান আলী শেখ, শামসুল হক, নূর হোসেন শেখ, রুহুল আমিন সেখ ও আল আমিন শেখের পরিবার।  

এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী হাসান আলী শেখ বলেন, ৪০ বছর ধরে আমি দ্বিপাড়া গ্রামে বসবাস করে আসছি। গত ১৫ বছর আগে আমার বাড়ির সামনের রাস্তাটি সরকার ভূমিহীন হিসেবে নুর মোহাম্মদকে দেয় বসবাস করতে। সে সময় নুর মোহম্মদের বাড়ির দক্ষিণ পাশ দিয়ে আমাদের ৫টি পরিবারকে যাতায়াতের জন্য ৪ ফিট প্রশস্ত একটি রাস্তা দেওয়া হয়। এ রাস্তা ব্যবহার করে আমরা যাতায়াত করতাম। গত সোমবার (৩ জুন) নুর মোহাম্মদ আমাদের যাতায়াতের রাস্তায় টিন দিয়ে বেড়া দিয়ে বন্ধ করে দিয়েছে। এ নিয়ে আমি এসিল্যান্ড অফিসে আবেদন করেও কোনো প্রতিকার পাচ্ছি না।

হাসান আলির ছেলের বউ নাজিয়া বেগম বলেন, গত ৩ জুন আমাদের বাড়ি থেকে বের হওয়ার একমাত্র রাস্তাটি টিন ও কাঠ দিয়ে বন্ধ করে দেওয়ায় আমরা ছেলে মেয়ে নিয়ে চরম বিপদে রয়েছি। 

স্থানীয় বেলাল হোসেন বলেন, ওই রাস্তা দিয়ে ৫টি পরিবার যাতায়াত করত। জমিটিতে নুর মোহাম্মদ ও আলমগীরকে ভূমিহীন হিসেবে সরকার বসবাস করতে দেয়। এখন নুর মোহাম্মদ রাস্তা দখল করে চলাচলের রাস্তায় টিনের বেড়া দিয়েছে।  

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে অভিযুক্ত নুর মোহাম্মদ বলেন, আমি যে বাড়িতে বসবাস করি এই বাড়ি সরকার আমাকে দিয়েছে। তাদের বাড়ি থেকে বের হওয়ার জন্য কোনো রাস্তা সরকার থেকে দেয়নি। সরকার থেকে আমাকে যে জায়গা দিয়েছে সেখানে আমি বেড়া দিয়েছি।

টঙ্গিবাড়ী সহকারী কমিশনার ভূমি ফারজানা ববি মিতু বলেন, ভুক্তভোগী পরিবারগুলোর সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। এ ব্যাপারে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ব.ম শামীম/এএএ