মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার নয়াগাঁও এলাকার ধলেশ্বরী নদী থেকে এক মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।

রোববার (৯ জুন) দুপুরে ফায়ার সার্ভিস ও নৌ পুলিশের টিম নয়াগাঁও কাদিরা পাগলার মাজার সংলগ্ন ধলেশ্বরী নদী থেকে ওই ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করে। তদন্ত করে প্রকৃত ঘটনা বের করে আনা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নয়াগাঁও এলাকার কাদিরা পাগলার মাজারের আশপাশে গত তিন ধরে মানসিক ভারসাম্যহীন ওই ব্যক্তির আনাগোনা ছিল। তার নাম-পরিচয় কেউ জানত না। তাকে মাজারের পাশের বিভিন্ন দোকান ও নদীর ঘাটে বসে থাকতে দেখেছেন অনেকেই। মাঝে মাঝে আশপাশের বাড়িঘর থেকে খাবার চেয়ে খেতেন তিনি।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রোববার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মাজারের পাশে একটি দোকানে বসে মানসিক ভারসাম্যহীন ওই ব্যক্তি নাস্তা খাচ্ছিলেন। মাজার সংলগ্ন জুলহাসের বাড়িতে পানি চাইতে গেলে সেখানেই ঘটে বিপত্তি। তাকে পানি দেওয়া হলে পান না করে তিনি ফেলে দেন। এ সময় পাগল ইটের টুকরো দিয়ে ঢিল ছুঁড়তে থাকেন। এতে জুলহাস ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে টেনেহিঁচড়ে নদীর ঘাটে নিয়ে আসে বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা। এ সময় জুলহাস তাকে ধাক্কা দিয়ে নদীতে ফেলে দেন বলেও অভিযোগ করেন কয়েকজন।

জুলহাসের স্বজনরা জানান, গাগল ইট ছুঁড়ে মারায় তাকে বাড়ি থেকে টেনে বের করে দেন জুলহাস। নদীতে ফেলে দেওয়ার বিষয়টি তারা জানেন না।

ফায়ার সার্ভিসের টিম লিডার মনিরুজ্জামান জানান, খবর পেয়ে তারা ঘটনাস্থলে আসেন এবং তাদের প্রশিক্ষিত ডুবুরি মরদেহ উদ্ধার করে।

এ বিষয়ে মুন্সীগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার থান্ডার খায়রুল হাসান জানান, বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এদিকে, ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছে জুলহাস প্রধান। তিনি ওই এলাকার সুলতান প্রধানের ছেলে।

ব.ম শামীম/কেএ