ফোনে কথা বলেই কলেজছাত্রীর আত্মহত্যা
মোবাইল ফোনে কথা বলে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে কলেজছাত্রীর আত্মহত্যা
মোবাইল ফোনে কথা বলে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে খাদিজা খাতুন (১৯) নামের এক কলেজছাত্রী আত্মহত্যা করেছেন। রোববার (০২ মে) দুপুর ২টায় খুলনার ফুলতলার ডাউকোনা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। তিনি ওই গ্রামের রেজাউল ইসলাম সরদারের মেয়ে। খাদিজা জামিরা বাজার আসমোতিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজের বিএম শাখা থেকে এ বছর এইচএসসি পাস করেন।
পারিবারিক সূত্র জানায়, রোববার দুপুর ২টার দিকে খাদিজার বাবা রেজাউল বাজারে এবং মা মর্জিনা বেগম আত্মীয়ের বাড়িতে ছিলেন। খাদিজার ভাই একই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র টিটো বাড়ির আঙিনায় খেলছিল।
বিজ্ঞাপন
খাদিজার ভাই টিটো জানায়, ঘরের ভেতরে আপা মোবাইল ফোনে যেন কার সঙ্গে কথা বলছিল। কিছুক্ষণ পর ঘরে গিয়ে আড়ার সঙ্গে গলায় ওড়নায় ফাঁস লাগিয়ে তাকে ঝুলতে দেখি। তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটা খাটের ওপর তার পায়ের নিচেই পড়েছিল। খবর পেয়ে ফুলতলা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়।
ফুলতলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাতাব উদ্দিন ঢাকা পোস্টকে বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে।
বিজ্ঞাপন
ফুলতলা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মধুসূদন পান্ডে ঢাকা পোস্টকে বলেন, ছোট ভাই টিটো খাদেজাকে মোবাইলে কথা বলতে দেখে গোসলের জন্য যায়। এসে দেখে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলে রয়েছেন খাদিজা। তবে কি কারণে তিনি আত্মহত্যা করেছেন তা জানা যায়নি।
মোহাম্মদ মিলন/এএম