অনেক কষ্ট করে কোরবানির ঈদে বিক্রির জন্য গরুটি লালনপালন করেছিলাম। গরু বিক্রির টাকায় পরিবারের জন্য কিছু করার আশা ছিল। কিন্তু হঠাৎ ঝড়ে আমার সব ভাবনা শেষ করে দিয়েছে। তিন মেয়ে নিয়ে অভাবের সংসারে আমার জন্য এটি বড় ধাক্কা। জানি না এ ক্ষতি কীভাবে কাটিয়ে উঠব—ঝড়ে গাছ পড়ে গরু মারা যাওয়ায় অশ্রুসিক্ত চোখে এভাবেই কথাগুলো বলছিলেন কৃষক মোয়াজ্জেম হোসেন। 

শনিবার (১৫ জুন) দুপুর আড়াইটার দিকে ফেনীর ফুলগাজী মহিলা কলেজ সড়কে কোরবানির হাটে নেওয়ার পথে গাছ ভেঙে পড়ে তার গরুটি মারা যায়।

মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, দুপুরে ফুলগাজী বাজারে বিক্রির জন্য গরু নিয়ে বাড়ি থেকে বের হই। পথিমধ্যে মহিলা কলেজের সামনে গেলে বৃষ্টি শুরু হয়। এ সময় রাস্তার পাশে গরুটি রেখে আমি পাশে একটি দোকানে দাঁড়িয়েছিলাম। এমন সময় হঠাৎ ঝোড়ো বাতাসে গাছ ভেঙে গরুর ওপরে পড়ে। তখনই আমার সব স্বপ্ন শেষ হয়ে যায়।

তিনি বলেন, গরুটির ৯০ হাজার থেকে এক লাখ টাকা বাজারদর ছিল। কোনো বিত্তবান যদি আমার পাশে দাঁড়ায় বড় উপকার হবে। 

ফুলগাজী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হারুন মজুমদার ঢাকা পোস্টকে বলেন, ঝড়ের তাণ্ডবে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে বেশকিছু ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তার মধ্যে বসন্তপুর, বাশুড়া এলাকায় ১৫টির মতো ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। গরুর মৃত্যুর বিষয়টিও শুনেছি। ক্ষতিগ্রস্তের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করব।

ফুলগাজী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তানিয়া ভূঁইয়া ঢাকা পোস্টকে বলেন, খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। কোরবানির হাটে নেওয়ার পথে গাছ ভেঙে পড়ে কৃষকের গরু মারা গেছে। তাকে সহযোগিতার চেষ্টা থাকবে। 

তারেক চৌধুরী/এমএ