পূর্ব শত্রুতার জেরে হামলা-ভাঙচুর, ইউপি সদস্য গ্রেপ্তার
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে পূর্ব শত্রুতা ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগের কার্যালয় ও ফার্মেসি ভাঙচুর ও মারপিটের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (২১ জুন) সন্ধ্যার দিকে জগন্নাথপুর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের হাসিমপুর বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় কুমারখালী থানায় ১২ জনের নামোল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত ৩/৪ জনকে আসামি করে মামলা করছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা আরিফুল ইসলাম। এ মামলার প্রধান আসামি জগন্নাথপুর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আব্দুল লতিফকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। লতিফ হাসিমপুর গ্রামের মৃত পুকাই শেখের ছেলে। মামলার বাদী আরিফুল ইসলাম একই গ্রামের ওয়াজেদ আলী শেখের ছেলে।
বিজ্ঞাপন
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, আধিপত্য বিস্তার ও পূর্ব শত্রুতার জেরে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা আরিফুল ইসলামের সঙ্গেহ স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল লতিফের বিরোধ চলছিল। শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে আরিফুল ইসলাম হাসিমপুর বাজারে স্থানীয় আওয়ামী লীগের অফিসে বসে ছিলেন। এ সময় তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে পূর্বপরিকল্পিতভাবে লতিফ মেম্বার ও তার লোকজন হাসুয়া, ডাঁসা, চাইনিজ কুড়াল, হাতুড়ি, শাবল, রড ও লাঠিসোঁটা নিয়ে আওয়ামী লীগ অফিস ভাঙচুর করেন। এ সময় তারা নানা হুমকি-ধামকি ও গালিগালাজ করেন।
এরপর ওই বাজারে আরিফুলে ভাই আব্দুল্লাহ আল মামুনের ফার্মেসিতে হামলা করে মামুনকে মারপিট করেন, ফার্মেসি ভাঙচুর করেন, ওষুধপত্র ও টাকা লুটপাট করেন। এ সময় তারা দুটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করেন।
বিজ্ঞাপন
মামলার বাদী আরিফুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, পূর্ব শত্রুতার জেরে আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে পূর্বপরিকল্পিতভাবে হামলা চালিয়েছে। এ সময় তারা আওয়ামী লীগের অফিস ভাঙচুর করেছে। আমার ভাইকে মারপিট করেছে। আমি সুষ্ঠু বিচারের আশায় থানায় মামলা করেছি। জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে কথা বলার জন্য জগন্নাথপুর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আব্দুল লতিফের পরিবার ও সমর্থকদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তাদের পাওয়া যায়নি।
জগন্নাথপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল বাকী বাদশার মোবাইলে একাধিকবার কল করলেও তিনি ধরেননি।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কুমারখালী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকিবুল ইসলাম আকিব বলেন, পূর্ব শত্রুতা ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছে। এক নম্বর আসামি ইউপি সদস্য লতিফকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য কাজ করছে পুলিশ। ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। অপ্রীতিকর যে কোনো ঘটনা প্রতিরোধে পুলিশ কাজ করছে। অপরাধীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রাজু আহমেদ/এএএ