জনশুমারি ও গৃহগণনা-২০২২-এর চূড়ান্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী রাজবাড়ীর মোট জনসংখ্যা ১১ লাখ ৮৯ হাজার ৮১৮ জন। জেলার মোট জনসংখ্যার মধ্যে পুরুষের সংখ্যা পাঁচ লাখ ৮২ হাজার ১২৩ জন, নারীর সংখ্যা ছয় লাখ সাত হাজার ৬২০ জন ও তৃতীয় লিঙ্গের সংখ্যা ৭৫ জন। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, জেলায় পুরুষের তুলনায় নারীর সংখ্যা ২৫ হাজার ৪৯৭ জন বেশি। জেলায় প্রতিবর্গ কিলোমিটারে ১০৩৬ জন মানুষ বসবাস করেন।

বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) দুপুরে জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২-এর চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর সহযোগিতায় জেলা প্রশাসন ও জেলা পরিসংখ্যান কার্যালয় সভাটি বাস্তবায়ন করে।

জনশুমারির তথ্যে জানা গেছে, জেলার মোট আয়তন ১১১৮ বর্গ কিলোমিটার। জেলার মোট জনসংখ্যার মধ্যে গ্রামে বসবাস করে ১০ লাখ ১০ হাজার ২৭ জন ও শহরে বসবাস করে এক লাখ ৭৯ হাজার ৭৯১ জন। জনসংখ্যার বার্ষিক গড় বৃদ্ধির হার ১.১ শতাংশ। জেলায় ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সংখ্যা তিন হাজার ৩২৪ জন। জেলায় গড় স্বাক্ষরতার হার ৬৯.৪৮ শতাংশ। এর মধ্যে পুরুষের স্বাক্ষরতার হার ৭০.৭০ শতাংশ ও নারীর স্বাক্ষরতার হার ৭৮.২৭ শতাংশ। গ্রামে স্বাক্ষরতার হার ৬৭.৯৭ ও শহরে ৭৭.৯৫ শতাংশ। জেলায় অক্ষমতার হার ১.৪৪ শতাংশ। এর মধ্যে গ্রামে ১.৪৮ শতাংশ ও শহরে ১.২২ শতাংশ।

জেলায় মুসলিম ধর্মাবলম্বীর সংখ্যা ১০ লাখ ৭৮ হাজার ৬৭৭ জন, হিন্দু ধর্মাবলম্বীর সংখ্যা এক লাখ ১০ হাজার ৫৬৯ জন, খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীর সংখ্যা ১৬৩ জন, বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীর সংখ্যা ৩৫ জন ও অন্যান্য ৩৭৪ জন। কাজের ক্ষেত্রে (১০ বছর ও তদূর্ধ্ব) জেলার ৫১.১৪ শতাংশ মানুষ কৃষি কাজে নিয়োজিত, শিল্পকাজে নিয়োজিত ১০.০৭ শতাংশ ও সেবামূলক কাজে নিয়োজিত ৩৮.৭৯ শতাংশ। জেলায় প্রতি ১০০ জন নারীর বিপরীতে পুরুষের সংখ্যা ৯৫.৮০ জন। শিশু ও নারীর অনুপাত ৩২৮.৫৯ শতাংশ ও নির্ভরশীলতার অনুপাত ৫৪.৫২ শতাংশ।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সিদ্বার্থ ভৌমিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক আবু কায়সার খান। 

বিশেষ অতিথি হিসেবে পুলিশ সুপারের প্রতিনিধি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মুকিত সরকার, সিভিল সার্জনের প্রতিনিধি সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. আব্দুর রহমান। 

অন্যান্যদের মধ্যে জেলা পরিবার ও পরিকল্পনার উপ-পরিচালক আলীফ নূর, জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক রুবাইয়াত মো. ফেরদৌস, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার অহীন্দ্র কুমার মন্ডল বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য ও মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জেলা পরিসংখ্যান কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম।

এ সময় বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তারাসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।

মীর সামসুজ্জামান সৌরভ/কেএ