সিলেটে মধ্যরাতে মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও সিলেট সিটি কর্পোরেশনের ২০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আজাদুর রহমান আজাদের বাসায় হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন কয়েকজন।

বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে নগরের টিলাগড় ও পূর্ব শাপলাবাগ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় হামলাকারীরা ইট-পাটকেল ছুড়ে কাউন্সিলরের দুটি বাসা ও আশপাশের কয়েকটি দোকানপাট, গাড়ির গ্লাস ভাঙচুর করে।

হামলায় আহতরা হলেন- হিরক রঞ্জন দে পাপলু, ফয়সাল, মোতাছির ও তাহমিদুর রহমান নেহাল। এ ছাড়া আরও কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে জানান স্থানীয়রা। 

হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার সোহেল রেজা।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কোরবানির পশুর হাটের টাকা নিয়ে স্থানীয় কবির ও কাউন্সিলরের লোকজনের মধ্যে উত্তেজনা চলছিল। এ নিয়ে কবিরের পক্ষের রাব্বি, বিজয়, রিয়াদসহ কয়েকজন নগরীর টিলাগড় এলাকায় এসে ওই টাকার ভাগ কেন দেয়নি জিজ্ঞেস করে আজাদের লোক সুহেল ও আদিল ওয়াহিদকে মারধর শুরু করেন। তখন তারা পালিয়ে কাউন্সিলরের বাসার দিকে গেলে কবিরের পক্ষের লোকজন কাউন্সিলরের বাসা ও আশপাশের দোকানপাট ভাঙচুর করেন। এছাড়া সিলেট মহানগর যুবলীগের সদস্য শমশের আলীর বাসায়ও ভাঙচুর করা হয়।

পরে খবর পেয়ে কাউন্সিলরের লোকজন টিলাগড় পয়েন্টে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ মিছিল করে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। এ সময় এলাকায় উত্তেজনা দেখা দেয়। কল্যাণপুরে কবিরের লোকজনের বাসাবাড়িতে পাল্টা হামলা করে আজাদ কাউন্সিলরের লোকজন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।

এ বিষয়ে কাউন্সিলর আজাদুর রহমান আজাদ বলেন, রাতে শিশুকন্যাকে নিয়ে ঘুমানোর সময় হঠাৎ চিল্লাচিল্লি আওয়াজ পাই। এরপর আমার বাসায় গেটে ঢিল মারার শব্দ শুনি। বের হয়ে দেখি কে বা কারা আমার বাসায় ইট-পাটকেল মেরে জানালার গ্লাস ভাঙচুর করেছে। আশপাশের অন্তত ২০টি দোকানেও ভাঙচুর চালিয়েছে। আমার সঙ্গে কারও বিরোধ নেই। গরুর বাজারের সঙ্গে আমি জড়িত নই। এখন মেয়েকে নিয়ে কীভাবে বাসায় থাকব বুঝতেছি না।আমি বিষয়টি পুলিশকে জানিয়েছি।

সিলেট মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার সোহেল রেজা বলেন, রাব্বি নামে এক ছেলেসহ কয়েকজন আজাদ কাউন্সিলরের বাসায় ইট-পাটকেল মেরেছে। সেখানে একটা গাড়ির গ্লাসও ভাঙচুর করেছে। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছে। এ বিষয়ে কেউ অভিযোগ দিলে আমরা আইনি ব্যবস্থা নেব।

মাসুদ আহমদ রনি/আরএআর