শিক্ষার্থী ভর্তিতে সুষম বণ্টন নীতি অনুসরণের দাবি ১০ কলেজের
বরিশাল শিক্ষাবোর্ডের আওতাধীন কলেজগুলোর জন্য নির্ধারিত কোটার বাইরে একাদশ শ্রেণিতে অতিরিক্ত শিক্ষার্থী ভর্তির অনুমতি না দিতে আবেদন করেছেন ভুক্তভোগী কলেজ অধ্যক্ষরা।
সোমবার (১ জুলাই) বরিশাল শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মো. ইউনুস আলী সিদ্দিকীর কাছে ১০ কলেজের অধ্যক্ষের স্বাক্ষরিত এই আবেদন জমা দেওয়া হয়।
বিজ্ঞাপন
শিক্ষাবোর্ড চেয়ারম্যান প্রফেসর মো. ইউনুস আলী সিদ্দিকী আবেদনটি গ্রহণ করে কলেজ পরিদর্শক প্রফেসর ড. লিয়াকত হোসেনকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন।
আবেদনে স্বাক্ষর করেন বরিশাল কালেক্টরেট স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর খন্দকার অলিউল ইসলাম, বরিশাল মেট্রোপলিটন কলেজের অধ্যক্ষ এসএম আলী নেছার, রূপাতলী জাগুয়া কলেজের অধ্যক্ষ মো. হানিফ হোসেন তালুকদার, মহানগর কলেজের অধ্যক্ষ মো. ফখরুল ইসলাম, কাশীপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মো. মামুন অর রশিদ, আনছার উদ্দিন মল্লিক কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ প্লাবন মজুমদার, বরিশাল কমার্স কলেজের অধ্যক্ষ নাহিদ আফরোজ, এ. করিম আইডিয়াল কলেজ ভর্তি কমিটির আহ্বায়ক মো. মনির হোসেন ভুঁইয়া প্রমুখ।
বিজ্ঞাপন
বরিশাল কালেক্টরেট স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর খন্দকার অলিউল ইসলাম বলেন, শিক্ষাবোর্ডের অনুমতি নিয়ে বিগত বছরগুলোতে বরিশাল নগরীর অধিকাংশ সরকারি কলেজ ও প্রতিষ্ঠিত এমপিওভুক্ত কলেজ নির্ধারিত কোটার বাইরে অতিরিক্ত শিক্ষার্থী ভর্তি করছে। অনেক সময় দেখা যায় তারা কোটার বাইরে এমন সংখ্যক অতিরিক্ত শিক্ষার্থী ভর্তি করছে যা, সামাল দেওয়ার মতো অবকাঠামো ও জনবল তাদের নেই। তবুও তারা প্রতিবছর এ কাজটি করে যাচ্ছে। অথচ আমাদের মতো অনেক প্রতিষ্ঠানের যাবতীয় অবকাঠামো ও জনবল থাকা সত্ত্বেও আমরা কাম্য সংখ্যক শিক্ষার্থী পাচ্ছি না। বিষয়টি ‘সুষম বণ্টন নীতির’ নীতির পরিপন্থি উল্লেখ করে আমরা শিক্ষাবোর্ড কর্তৃপক্ষকে অবহিত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার জন্য লিখিত আবেদন করেছি।
সৈয়দ মেহেদী হাসান/জেডএস