সোনালী ব্যাংকের ৯ কোটি টাকা ঋণ খেলাপির মামলায় পটুয়াখালী জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদিক জাকিয়া সুলতানা বেবিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

গতকাল পৌর শহরের ৭ নং ওয়ার্ড ফায়ার সার্ভিস রোড এলাকায় নিজ বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করে সদর থানা পুলিশ।

পটুয়াখালী অর্থ ঋণ আদালতের গ্রেফতারি পরোয়ানা থাকান কথা পুলিশ জানালেও বেবি পুলিশকে জানান তিনি জামিনে রয়েছেন। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পটুয়াখালী সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. জসিম।  

পটুয়াখালী সোনালী ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, ১৯৮৫ সালে পটুয়াখালী বিসিক এলাকায় মেসার্স পটুয়াখালী টেক্সটাইল নামে একটি কোম্পানি খুলে সোনালী ব্যাংক থেকে ২ কোটি ২৩ লাখ ২৪ হাজার টাকা ঋণ নেন জাকায়া সুলতানা বেবির স্বামী সিরাজুল ইসলাম খান। কোম্পানিটির মোট ৩ জন মালিক ছিলেন। এর মধ্যে ৫০ ভাগ শেয়ার ছিল সিরাজুল ইসলামের, ২৫ ভাগ শেয়ার ছিল জাকিয়া সুলতানা বেবির এবং বাকি ২৫ ভাগ শেয়ার ছিল হামিদুল হক নামে এক ব্যক্তির। ১৯৯৩ কোম্পানিটি বন্ধ হয়ে যায়। ১৯৮৫ থেকে ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত ব্যাংকের বকেয়া দাঁড়ায় ৮ কোটি ৩৮ লাখ ৭২ হাজার টাকা। এ সময়ের মধ্যে কোম্পানির দুইজন মালিক সিরাজুল ইসলাম এবং হামিদুল হক মারা যান।

ঋণের অর্থ পরিশোধ না করায় ২০০৪ সালে ব্যাংক ম্যানেজার বাদী হয়ে কোম্পানির তৎকালীন পরিচালক জাকিয়া সুলতানা বেবির বিরুদ্ধে পটুয়াখালী অর্থ ঋণ আদালতে মামলা দায়ের করেন।  

পটুয়াখালী সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজার মো. জিল্লুর রহমান বলেন, পটুয়াখালী টেক্সটাইল-এর নামে জাকিয়া সুলতানা বেবির স্বামী সিরাজুল ইসলাম খান  ১৯৮৫ সালে সোনালী ব্যাংক থেকে ২ কোটি ২৩ লাখ ২৪ হাজার টাকা ঋণ নেন। তারা ঋণ পরিশোধে ছিলেন অনিয়মিত। তাই ২০০৪ সালে তৎকালীন ম্যানেজার মামলা করেছিলেন।  আদালত তাকে গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছেন। তবে গত মে মাসে তিনি ১৯ লাখ টাকা ব্যাংকে জমা দিয়েছিলেন। 

এ বিষয়ে সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. জসিম বলেন, তার বিরুদ্ধে আদালত গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। আর আদালতের নির্দেশেই পটুয়াখালী সদর থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছে।  

এনএফ