পরকীয়ার জেরে গণধোলাই খাওয়া সেই স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা বহিষ্কার
ফরিদপুরের সালথায় পরকীয়ার জেরে গণপিটুনি খাওয়া স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মো. সবুজ সরদারকে (৩৫) দলীয় পদ থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। বুধবার (১০ জুলাই) রাতে সালথা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি রাকিবুল হাসান ও সাধারণ সম্পাদক মো. কামাল হোসেন স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
বহিষ্কৃত সবুজ সরদার ফরিদপুরের সালথা উপজেলা মাঝারদিয়া ইউনিয়নের মাঝারদিয়া গ্রামের বাসিন্দা। তিনি সালথা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি ছিলেন।
বিজ্ঞাপন
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সংগঠনের শৃঙ্খলা, নীতি ও আদর্শ পরিপন্থি কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগে সালথা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি মো. বুলবুল হাসানকে (সবুজ সরদার) তার সাংগঠনিক পদ থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হলো। সেই সঙ্গে স্থায়ীভাবে তাকে বহিষ্কারের জন্য ফরিদপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ কমিটির নিকট প্রেরণ করা হলো।
আরও পড়ুন
বিজ্ঞাপন
বহিষ্কারের বিষয়টি নিশ্চিত করে সালথা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি রাকিবুল হাসান জুয়েল বলেন, সবুজ দলীয় আদর্শের তোয়াক্কা না করে নানা অপকর্ম ও পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন। তার এসব কর্মকাণ্ড নিয়ে গত রোববার (৭ জুলাই) গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর বিষয়টি কেন্দ্রীয় ও জেলা কমিটির নজরে আসে। পরে ঘটনার সত্যতা যাচাই করতে জেলা কমিটির পক্ষ থেকে তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। সেই তদন্ত কমিটি ঘটনার সত্যতা পাওয়ার পর জরুরি সিদ্ধান্ত মোতাবেক সবুজকে তার দলীয় পদ থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, সরকার দলীয় পদ ব্যবহার করে নানা অপকর্মে জড়িয়ে পড়েন সবুজ সরদার। তার স্ত্রী ও দুটি সন্তান থাকার পরও তিনি মাঝারদিয়া গ্রামের এক নারীর সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন। গত শনিবার (৬ জুলাই) সকালে ওই নারীর সঙ্গে ফের দেখা করতে গেলে গ্রামবাসী তাকে ধরে গণধোলাই দেয়। এ ঘটনার ৩৯ সেকেন্ডের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে।
জহির হোসেন/এমজেইউ