দিনাজপুর হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) সাধারণ শিক্ষার্থীরা বৈষম্যমূলক কোটা পদ্ধতি সংস্কার ও ২০১৮ এর পরিপত্র পুনর্বহালের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মহাসড়ক অবরোধ করেন। সোমবার (১৫ জুলাই) দুপুর ১২টার দিকে হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সম্মুখ মহাসড়কে বিক্ষোভ মিছিল ও রাস্তা অবরোধ করেন আন্দোলনকারীরা।

বিক্ষোভ মিছিলে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত করে তুলেন। পরে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। এতে করে দিনাজপুর-দশমাইল মহাসড়কে শত শত যানবাহন আটকা পড়ে। এ সময় শিক্ষার্থীদের ফেস্টুন ও প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল ‘কোটা প্রথা  নিপাত যাক মেধাবীরা মুক্তি পাক’, ‘চাইলাম অধিকার হয়ে গেলাম রাজাকার’, ‘তুমি কে আমি কে রাজাকার রাজাকার’, ‘অযৌক্তিক কোটা সংস্কার চাই।’ এভাবে মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে প্রায় দুই ঘণ্টা অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।

এ সময় সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষে বক্তব্য দেন ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষার্থী সুজন রানা, কৃষি প্রকৌশলী ১৮ ব্যাচের শিক্ষার্থী সোহাদুজ্জামান সোহাগ, ইংরেজি ২১ ব্যাচের শিক্ষার্থী মো. ফাইজ, ২১ ব্যাচের শিক্ষার্থী মিলন, কৃষি ১৭ ব্যাচের শিক্ষার্থী হাসানুজ্জামান মিলন প্রমুখ।

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী শাহনাজ পারভীন মৌ বলেন, প্রধানমন্ত্রীর গতকালের কথায় আমরা ব্যথিত হয়েছি। আমরা অধিকার চেয়েছিলাম প্রধানমন্ত্রী আমাদেরকে রাজাকার বানিয়ে দিয়েছে। আজ আমরা আমাদের অধিকার মেধার যোগ্য স্থান চেয়েছি। যেখানে দেশ গড়তে মেধাবীদের বিকল্প নেই, সেখানে অযোগ্য লোকদের বসিয়ে দেশের ক্ষতি করা হচ্ছে। তাই আমরা আমাদের কোটা সংস্কারের যৌক্তিক আন্দোলন চালিয়ে যাব, যতদিন পর্যন্ত আমাদের এই দাবি মেনে না নেওয়া হবে। আমরা আন্দোলন থেকে পিছপা হব না। ইতোমধ্যেই আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদেরকে বিভিন্নভাবে ছাত্রলীগের নেতাকর্মী ও দুর্বৃত্তরা হুমকি দিতে শুরু করেছে। আমরা আমাদের যৌক্তিক আন্দোলন চালিয়ে যাব।

এ বিষয়ে দিনাজপুর কোতোয়ালি থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফরিদ হোসেন বলেন, রাস্তা অবরোধ করে আন্দোলন করা হাবিপ্রবি শিক্ষার্থীরদের সঙ্গে আমি কথা বলেছি। আমি তাদেরকে বুঝিয়েছি আপনারা যৌক্তিক আন্দোলন করেন। তবে সাধারণ মানুষকে ভোগান্তিতে ফেলবেন না। যেহেতু দীর্ঘক্ষণ রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন আপনারা অবরোধ তুলে নেন। সাধারণ মানুষের ভোগান্তি হচ্ছে। একপর্যায়ে তারা রাস্তার অবরোধ তুলে নিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

ইমরান আলী সোহাগ/এমজেইউ