শেরপুরে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে গত কয়েকদিনের সহিংস ও নাশকতার ঘটনায় সদর থানায় ৬টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ সব মামলায় বিএনপি-জামায়াত নেতা-কর্মীসহ স্বনামে ও অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে প্রায় সাড়ে ৭ হাজার জনকে।  

এর আগে এসব মামলায় আরও ১০৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। গ্রেপ্তার হওয়া অধিকাংশই বিএনপি-জামায়াতের কর্মী বলে জানা গেছে।  

পুলিশ জানায়, অভিযুক্তরা শেরপুর সদর থানার ওসি এমদাদুল হককে আটক করে ব্যাপক নির্যাতন চালিয়েছে। তার মাথার ২৪টি স্থানে ক্ষত হয়েছে। পুলিশের এক নায়েকের ওপর অস্ত্র ও বিস্ফোরক নিয়ে হামলা করেছে, এতে তার হাতের কব্জি উড়ে যায়। এছাড়া পুলিশ ফাঁড়ি ও আনসার ক্যাম্পে হামলা, ট্রাফিক পুলিশ বক্সে আগুনসহ সরকারি বহু স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত করা হয়েছে। এসব ঘটনায় ২০ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। 

রোববার সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শফিকুল ইসলাম। তিনি জানান, যারা নাশতার সঙ্গে জাড়িত তাদের সবাইকে গ্রেপ্তার করা হবে। 

মো. নাইমুর রহমান তালুকদার/এসকেডি