রাজবাড়ীতে যাত্রীবাহী বাস ও সিমেন্টবোঝাই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে তিনজন নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন আরও ৪-৫ জন।

শুক্রবার (২ আগস্ট) সকাল ৮টার দিকে সদর উপজেলার রাজবাড়ী-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কের আহলাদিপুর টিটিসি ভবনের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

রাজবাড়ী আহলাদিপুর হাইওয়ে থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) জুয়েল রানা বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন।

নিহতরা হলেন- ট্রাকের হেলপার কুষ্টিয়ার আমলা ৩নং ওয়ার্ডের মোহদিপুর গ্রামের মো. ইমরুলের ছেলে সাকিব (৩২), রাজবাড়ী সদর উপজেলার বসন্তপুর ইউনিয়নের সাইনবোর্ড এলাকার রাজবাড়ী সমাজসেবা অফিসের সমাজকর্মী বিএম নাজিম উদ্দীন (৫০) ও অজ্ঞাত একজন।

আহতরা হলেন- রাজবাড়ী সদর উপজেলার শ্রীপুর এলাকার আহেজ ব্যাপারীর ছেলে রাহুল রাজু (৪০), কুষ্টিয়ার আমলা ৩নং ওয়ার্ডের মোহদিপুর গ্রামের দাখিল উদ্দিনের ছেলে আব্দুল সালাম ও রাজবাড়ী সদরের আলিপুর ইউনিয়নের কল্যাণপুর গ্রামের বেলায়েত হোসেনের মেয়ে মোছা. ফিরোজা বেগম।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আজ সকাল ৮টার দিকে কুষ্টিয়া থেকে ফরিদপুরগামী লোকাল আমানত শাহ নামের একটি বাস সদর উপজেলার রাজবাড়ী-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কের আহলাদিপুর টিটিসি ভবনের সামনে এলে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা কুষ্টিয়াগামী সিমেন্টবোঝাই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এ সময় ঘটনাস্থলেই একজন নিহত হন। আহত হয় ৫-৬ জন। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে পাঠালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও একজন নিহত হন ও ঢাকা নেওয়ার পথে আরও একজন মারা যান।

প্রত্যক্ষদর্শী মোহাম্মদ আলী বলেন, ফজরের নামাজ পড়ে স্থানীয় আলিপুর বাজারে গিয়েছিলাম। সেখান থেকে এসে বাড়িতে নাস্তা করছিলাম। হঠাৎ ঘর থেকে বিকট আওয়াজ শুনতে পাই। দ্রুত বের হয়ে রাস্তায় গিয়ে দেখি বাস ছিটকে পড়ে আছে। বাসের সামনের অংশ দুমড়েমুচড়ে গেছে। রাস্তার ওপারে খাদের মধ্যে ট্রাক পড়ে আছে। ঘটনাস্থলেই একজনের মরদেহ পাই। আহত ৫-৬ জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠাই।

রাজবাড়ী সদর হাসপাতালের নার্সিং সুপারভাইজার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, মৃত অবস্থায় হাসপাতালে একজনকে নিয়ে আসা হয়। আহত অবস্থায় পাঁচজনকে হাসপাতালে আনলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ট্রাকের হেলপার সাকিব মারা যান। আহত চারজনের মধ্যে বিএম নাজিম উদ্দিন নামে একজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে সেখান থেকে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হলে নেওয়ার পথে মারা যান তিনি। হাসপাতালে থাকা দুজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

আহলাদিপুর হাইওয়ে থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) জুয়েল রানা বলেন, আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। চালক ও হেলপাররা পলাতক রয়েছে। এ ব্যাপারে পরবর্তী আইনি কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।

মীর সামসুজ্জামান সৌরভ/এমজেইউ