এক দফা দাবিতে আজ সারা দেশে চলছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা অসহযোগ আন্দোলন। তবে, রাজবাড়ীতে সকাল থেকে সাধারণ শিক্ষার্থীদের খুব একটা চোখে পড়েনি। তারা জমায়েত হলেই তাদের ছত্রভঙ্গ করে দিচ্ছেন আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মীরা। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রাজবাড়ী শহরের রাস্তাঘাট সরকারদলীয় সমর্থকদের দখলে চলে যায়।

রোববার (৪ আগস্ট) সকাল ১০টার পর থেকে সরকারি দলের মহড়া ও নানা শ্লোগানে বড়পুল এলাকায় ভীতিকর পরিবেশ তৈরি হয়। এ সময় বিভিন্ন পয়েন্টে মোড়ে মোড়ে পুলিশের অবস্থান ছিল।

সরেজমিনে দেখা যায়, পূর্বনির্ধারিত সময়ে অসহযোগ আন্দোলন সফল করার জন্য সকাল থেকেই সাধারণ শিক্ষার্থীরা রাজবাড়ী শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে অবস্থান নেয়। বেলা ১১টার দিকে বড়পুল মোড় থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিল বের করার কথা ছিল। 

এর আগেই জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. নুরুজ্জামান মিয়া সোহেলের নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে বড়পুল মোড়ে অবস্থান নেন। এর কিছুক্ষণ পড়ে জেলা আওয়ামী লীগ, পৌর আওয়ামী লীগ ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বড় একটি মিছিল নিয়ে বড়পুল মোড়ে আসেন। পরে মোটরসাইকেল শোডাউন নিয়ে জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি জাকারিয়া মাসুদ রাজিব, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. শাহিন শেখ ও সাধারণ সম্পাদক মো. জাহিদুল ইসলাম জাহিদের নেতৃত্বে বড়পুল মোড়ে আসেন নেতাকর্মীরা। 

এ সময় তারা বিভিন্ন পয়েন্টে অবস্থানে থাকা সাধারণ শিক্ষার্থীদের সরিয়ে দেন। একপর্যায়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ধাওয়া দিয়ে শহর ছাড়া করেন তারা। রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী ইরাদত আলী বড়পুল এলাকায় বেশ কিছু সময় অবস্থান নেন। 

এছাড়া, দুপুরে জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে দলীয় কার্যালয় থেকে বিশাল মিছিল বের হয়। মিছিলে রাজবাড়ী-১ আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী কাজী কেরামত আলী উপস্থিত ছিলেন।

জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শাহিন শেখ বলেন, কোটা সংস্কারের পরিবর্তে সরকার হটানোর এক দফা আন্দোলন রাজনৈতিক কর্মসূচিতে রূপ নিয়েছে। আমরা ছাত্রলীগসহ আ.লীগ সকাল থেকেই মাঠে আছি। সন্ধ্যা পর্যন্ত আমরা এই রাজপথে থাকব। 

এছাড়া, জেলা আ.লীগ সহসভাপতি ফকরুজ্জামান মুকুট, পৌর আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সফিকুল ইসলাম, জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান মিয়া সোহেল, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি জাকারিয়া মাসুদ রাজীব, জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি রকিবুল হাসান পিন্টু, জেলা ছাত্র লীগের সভাপতি মো. শাহিন শেখ, সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম প্রমুখ বড়পুল এলাকায় অবস্থান করেন। এখনো এলাকায় থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে।

মীর সামসুজ্জামান সৌরভ/কেএ