বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেছেন, আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, আমাদের শরীরে বীরের রক্ত। আমরা তাদের কাছে পরাজিত হতে পারি না। আওয়ামী লীগ আন্দোলন-সংগ্রামের দল। জনগণের জানমালের নিরাপত্তায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত আমরা রাজপথে থাকবো।

বিএনপি-জামায়াতের দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র, নৈরাজ্য ও সহিংসতার প্রতিবাদে রোববার (৪ আগস্ট) নগরীর সাহেব বাজার জিরোপয়েন্টে রাজশাহী জেলা ও আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের অবস্থান কর্মসূচি ও প্রতিবাদ সমাবেশে এ ঘোষণা দেন তিনি।

তিনি বলেন, আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কারের দাবিটি এরইমধ্যে সরকার মেনে নিয়েছে। আরো যে ৯ দফা দাবি তারা দিয়েছিল, সেগুলো নিয়ে আলোচনার জন্য প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘গণভবনের দরজা খোলা আছে।’ এখনো সময় আছে, আপনারা (আন্দোলনকারীরা) ঘরে ফিরে যান। বিএনপি-জামায়াত-শিবির সারাদেশে ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে। সাধারণ শিক্ষার্থীরা বুঝে হোক, আর না বুঝে হোক তাদের পাল্লায় পড়ে বিপদগামী হয়েছে। যারা স্বাধীনতা-সার্বভৌম মানে না, বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতাকে মানে না, তারা শিক্ষার্থীদের ঘাড়ে বন্দুক রেখে গুলি করে যাচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, শান্তিপ্রিয় রাজশাহীকে আমরা অশান্ত হতে দেবো না। কেউ যেন অশান্তি ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে, সেজন্য সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। আমরা শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি পালন করছি। কিন্তু তারা যদি কখনো আমাদের গায়ের ওপর এসে পড়ে, তাহলে তখন আমাদের কিছু করার থাকবে না। আমরা তাদেরকে শক্তভাবে প্রতিহত করবো।

রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামালের সভাপতিত্বে এতে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অনিল কুমার সরকার, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনের সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান আসাদ, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার, সহ-সভাপতি ডা. তবিবুর রহমান শেখ, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাড. আসলাম সরকার, মীর ইশতিয়াক আহমেদ লিমন, জেলা আওযামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান মানজালসহ মহানগর ও জেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
 
শাহিনুল আশিক/জেডএস