মানিকগঞ্জে সাংবাদিক অহিদুর রহমান রানার বাড়িঘর ভাঙচুর করার অভিযোগ উঠেছে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার বিরুদ্ধে। এ ছাড়াও তার বাড়িটি পুড়িয়ে দেওয়ার হুমকি ও ভাড়াটিয়াদের ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগও ওঠে এই নেতার বিরুদ্ধে।

সোমবার (১৯ আগস্ট) বিকেলে এ ঘটনায় সাংবাদিক অহিদুর রহমান রানা বাদি হয়ে মানিকগঞ্জ সদর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

সাংবাদিক অহিদুর রহমান রানা বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল বাংলা টিভিতে মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত আছেন।

অভিযুক্তরা হলেন—স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার বেতিলা ইউনিয়নের বেতিলা গ্রামের মৃত আ. রাজ্জাক শিকদারের ছেলে এস মাহমুদ রাজ্জাক অপু (৪৫), এস মুয়িদ রাজ্জাক পার্থ (৪০), মৃত নিজাম হায়দারের ছেলে সালাউদ্দিন হায়দার (৫৫), মৃত বারেক ভূঁইয়ার ছেলে টুটুল ভূঁইয়াসহ (৪২) অজ্ঞাতনামা আরও ২০/৩০ জন।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্তরা গত ৫ আগস্ট বিকেল ৫টার দিকে সাংবাদিক রানার বসতবাড়িতে প্রবেশ করে ভাঙচুর চালায়। এরপর মঙ্গলবার দুপুরের দিকে আসামিরা বেতিলা এলাকায় সাংবাদিক রানা বসতবাড়িতে প্রবেশ করে ভাড়াটিয়া সোহেলকে (পল্লী বিদ্যুৎ মানিকগঞ্জের লাইনম্যান) বাড়ি ছেড়ে চলে যাওয়ার হুমকি প্রদর্শন করে। এ সময় তারা বাড়ির স্থাপনায় ভাঙচুর করে এবং বাড়িঘর পুড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়। এরপর সব ভাড়াটিয়াদেরকে দুই দিনের মধ্যে বাড়ি ছেড়ে চলে যাওয়ার হুমকি দেয় এবং সাংবাদিক রানাকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়।

অভিযুক্ত এস মাহমুদ রাজ্জাক অপু বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। কারণ ওই সময় আমি এলাকাতেই ছিলাম না। আর দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে ২০-৩০ জন লোক নিয়ে হামলা একেবারেই অবিশ্বাস্য। তার সঙ্গে জমি নিয়ে একটা বিরোধ আছে। অবৈধভাবে সেই জমির দখলে নিতে এবং আমাদেরকে হয়রানি করার উদ্দেশ্যেই এই মিথ্যা অভিযোগ করেছে।

এ বিষয়ে সাংবাদিক অহিদুর রহমান রানা বলেন, অভিযুক্ত এম মাহমুদ রাজ্জাক অপুসহ অন্যান্যদের সঙ্গে জমিজমা নিয়ে মতবিরোধ রয়েছে। এই জের ধরে তারা আমার বাড়িতে গিয়ে ভাড়াটিয়াদের নানান হুমকি-ধমকি দিচ্ছে এবং বাড়ির স্থাপনাও ভাঙচুর করেছে। অবৈধভাবে তারা আমার জমি ও বাড়ি দখল করারও চেষ্টা করছে, আমাকে প্রাণনাশের হুমকিও দিয়েছে। এ ঘটনায় আমি সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।

এ বিষয়ে মানিকগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. হাবিল হোসেন বলেন, এ বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে ওসি জানান।

সোহেল হোসেন/এএমকে