খুলনাঞ্চলে ভারতফেরত ২৫৬৪ জন কোয়ারেন্টাইনে
ভারত থেকে বেনাপোল বন্দর দিয়ে গত ২৬ এপ্রিল থেকে ৮ মে পর্যন্ত ২ হাজার ৫৬৪ জন বাংলাদেশি নাগরিক ফিরেছেন। তাদের প্রথমে যশোরের বিভিন্ন কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে রাখা হয়। পরে যাত্রীর সংখ্যা বেশি হওয়ায় পর্যায়ক্রমে খুলনা, সাতক্ষীরা, নড়াইল, ঝিনাইদহ ও মাগুরার কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে রাখা হয়েছে।
এর মধ্যে যশোরে ১ হাজার ১৪০ জন, খুলনায় ৫২১ জন, নড়াইলে ৯৯ জন, ঝিনাইদহে ১৬৩ জন, সাতক্ষীরায় ৩৩০ জন এবং মাগুরায় ৫০ জন যাত্রী কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে রয়েছেন। আগামী ১১ মে ২৬ এপ্রিল আগত যাত্রীদের কোয়ারেন্টাইন শেষ হবে।
বিজ্ঞাপন
রোববার (০৯ মে) দুপুরে খুলনার বিভাগীয় কমিশনার মো. ইসমাইল হোসেন সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।
বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে আগত বাংলাদেশি নাগরিকদের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিতকরণ ও গৃহীত কার্যক্রম বিষয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের অবহিতকরণে বিভাগীয় কমিশনারের সম্মেলন কক্ষে এ সভার আয়োজন করা হয়।
বিজ্ঞাপন
বিভাগীয় কমিশনার মো. ইসমাইল হোসেন বলেন, বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে আগত বাংলাদেশি নাগরিকদের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিতকরণে সার্বিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। বেনাপোল বন্দর দিয়ে ২৬ এপ্রিল থেকে আগত যাত্রীদের খুলনা বিভাগের বিভিন্ন জেলার কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে রাখা হয়েছে। জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ ও জেলা সিভিল সার্জনের সহায়তায় কোয়ারেন্টাইনে থাকা ব্যক্তিদের দেখাশোনা করা হচ্ছে। নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে বিভিন্ন জেলার এসব কোয়ারেন্টাইন সেন্টারগুলোতে আজ থেকে বিজিবি মোতায়েন করা হবে।
তিনি আরও বলেন, যাত্রী আনা নেওয়া এবং খাবারসহ অন্যান্য সুবিধা নিশ্চিতকরণে জেলা প্রশাসন সার্বিক সমন্বয় করছে। কোয়ারেন্টাইনে থাকা ব্যক্তিরা সুস্থ্য আছেন। যাদের করোনা পজিটিভ রয়েছে তাদের সংক্রমণজনিত জটিলতা নেই। তবে সংক্রমিত ব্যক্তিদের সম্পূর্ণ আলাদা করোনা ইউনিটে রাখা হবে। মন্ত্রিপরিষদের সিদ্ধান্ত, নতুন কোনো সংক্রমিত যাত্রীকে আনা হবে না। আগামী ১১ মে ২৬ এপ্রিল আগত যাত্রীদের কোয়ারেন্টাইন শেষ হবে। এসব ব্যক্তিরা সাফল্যের সঙ্গে কোয়ারেন্টাইন শেষ করার পর সার্টিফিকেট পাবেন।
অবহিতকরণ সভায় অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার সুবাস চন্দ্র সাহা, অতিরিক্ত ডিআইজি একেএম নাহিদুল ইসলাম, খুলনা স্বাস্থ্য বিভাগের পরিচালক ডা. রাশেদা সুলতানা, খুলনা আঞ্চলিক তথ্য অফিসের উপপ্রধান তথ্য অফিসার জিনাত আরা আহমেদ, খুলনা প্রেসক্লাবের সভাপতি এসএম জাহিদ হোসেন, খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মুন্সি মো. মাহবুব আলম সোহাগ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
মোহাম্মদ মিলন/আরএআর