আনন্দ মিছিলে গিয়ে গুলিবিদ্ধ, নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন আকতার
আহত আকতার
ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা পদত্যাগ করার পর আনন্দ মিছিলে গিয়ে সন্ত্রাসীদের হামলায় গুলিবিদ্ধ হয়ে বিছানায় কাতরাচ্ছে সাবেক ছাত্রদল নেতা আকতার (৪০)। এ ঘটনায় থানায় মামলা হলেও এখনো প্রকাশ্যে ঘুরছেন অভিযুক্ত রাজিব (৩৬)। গতকাল বুধবার (২৮ আগস্ট) বিকেলে সাংবাদিকদের কাছে এমন অভিযোগ করেন আহত আকতারের বড় ভাই মো. জয়নাল আবেদীন চাঁনু।
গুলিবিদ্ধ আকতার গফরগাঁও পৌর শহরের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের শিলাসী এলাকার মৃত সিরাজ উদ্দিন। তিনি সাবেক ছাত্রদল নেতা। অভিযুক্ত রাজিব পৌর শহরের রাঘাইচটি এলাকার আব্দুল মোতালেবের ছেলে।
বিজ্ঞাপন
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছাড়ার পর বিকেলে পৌর শহরের আনন্দ মিছিল করে ছাত্র-জনতা। এ সময় আনন্দ মিছিলটি পৌর শহরের কলেজ রোড এলাকায় এলে রাজিব, রাকিবসহ একদল অস্ত্রধারী তাদের ওপর হামলা করে। এতে আকতার গুলিবিদ্ধ হন। আহত হন কমপক্ষে ১০ জন।
গফরগাঁও থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহিনুজ্জামান খান জানান, এ ঘটনায় জয়নাল আবেদীন চাঁনু বাদী হয়ে গত ২২ আগস্ট ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৫০ থেকে ৬০ জনকে আসামি থানায় মামলা করেছেন। ওই মামলায় আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
স্থানীয়রা জানান, রাজিব ও তার ভাই রাকিব এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী। তাদের ভয়ে এলাকার মানুষ তটস্থ। জমি দখল, চাঁদাবাজি, অস্ত্র, মাদক ও চোরাই মোটরসাইকেল বিক্রি তাদের নিত্যদিনের পেশা। সাবেক এমপি ফাহমি গোলন্দাজ বাবেলের অনুসারী তারা। মূলত এমপির মদদেই তারা এলাকায় অপরাধের সম্রাজ্য গড়ে তুলেছে। এক সময় এই পরিবারটি হতদরিদ্র অবস্থায় দিনযাপন করলেও বর্তমানে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে গড়ে তুলেছে সম্পদের পাহাড়।
বিজ্ঞাপন
এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে গুলিবিদ্ধ আকতার বলেন, মিছিলে হামলার ঘটনায় থানায় মামলা হলেও পুলিশ সন্ত্রাসীদের ধরছে না। এতে আমি পরিবার নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। অবিলম্বে রাজিবসহ সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হোক।
এ বিষয়ে জানতে একাধিকবার অভিযুক্ত রাজিবের ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
আমান উল্লাহ আকন্দ/আরএআর