ফরিদপুরে মোটরসাইকেল চালককে হত্যার দায়ে একজনের মৃত্যুদণ্ড
ফরিদপুরে ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেল চালক মো. আওয়াল মৃধাকে (২৬) হত্যার মামলায় দোষী সাব্যস্ত করে শিমুল (৩৫) নামে এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সেই সঙ্গে তাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৯) দুপুর ২টার দিকে ফরিদপুর জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক শিহাবুল ইসলাম এ আদেশ দেন। রায়ের সময় ওই আসামি পলাতক ছিলেন।
বিজ্ঞাপন
নিহত আওয়াল চরভদ্রাসনের চর মইনুদ্দিন গ্রামের বাসিন্দা পরশ আলী মৃধার ছেলে। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত শিমুল পদ্মা নদীর চরে অমরাপুর গ্রামের বাসিন্দা।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪ সালের ১৭ নভেম্বর ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলার হাজীগঞ্জ বাজারে গিয়ে রাতে আর বাড়ি ফেরেননি আওয়াল। পরদিন ১৮ নভেম্বর আওয়ালের বাবা পরশ মৃধা হাজীগঞ্জ বাজারে গিয়ে বিভিন্ন লোকের কাছ থেকে খবর নিয়ে ওমরাপুর গ্রামে শিমুলের বাড়িতে যান। সেখানে গিয়ে শিমুলের বাড়ি থেকে আওয়ালের চালিত মোটরসাইকেলটি পাওয়া যায়। পরে এলাকাবাসীর সহায়তায় শিমুলকে আটক করলে তিনি জানান, আওয়াল তার কাছে মোটরসাইকেল বিক্রি করবেন বলে ২০ হাজার টাকা নিয়েছিলেন। অনেকদিন হয়ে যাওয়ার পরেও মোটরসাইকেল বা টাকা ফেরত দিচ্ছিলেন না আওয়াল। এ কারণে ছমির ব্যাপারির ডাঙ্গী গ্রামের রফিক (২৫), চরহাজীগঞ্জের মহা কসাই (৪৫), ফরহাদ (৩২), রিপন শেখ (৩৫) ও সারোয়ারের (৪০) সহায়তায় পদ্মা নদীর পাড়ে একটি কাঁশবনে নিয়ে আওয়ালকে হত্যা করা হয়। এরপর শিমুলের দেখানো জায়গা থেকে আওয়ালের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
বিজ্ঞাপন
এ ঘটনায় আওয়ালের বাবা পরশ মৃধা বাদী হয়ে ২০১৪ সালের ১৮ নভেম্বর শিমুল, রফিক, মহা কসাই, ফরহাদ, রিপন ও সরোয়ারকে আসামি করে চরভদ্রাসন থানায় একটি হত্যা করেন। সে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডি ফরিদপুরের উপ-পরিদর্শক (এসআই) সুপ্রভাত বিশ্বাস ২০১৫ সালের ৮ জুন উল্লিখিত ব্যক্তিদের নামে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ফরিদপুর জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের ভারপ্রাপ্ত পিপি মো. সানোয়ার হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, আদালত এ হত্যা মামলায় দোষী সাব্যস্ত করে পেনাল কোডের ৩০২/৩৪ ধারায় মৃত্যুদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দেন। অপর আসামিদের বিরুদ্ধে অপরাধ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের বেকসুর খালাস দেওয়া হয়।
তিনি আরও বলেন, এ রায়ে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এ রায় দেশে আইনের শাসন নিশ্চিত করতে সহায়তা করবে এবং মানুষের মধ্যে অপরাধ প্রবণতা কমে আসবে।
জহির হোসেন/এফআরএস