খুলনার ১৩ কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে রয়েছেন ভারতফেরত ৫৩৬ জন। এর মধ্যে শুক্রবার (১৪ মে) রাতে বাড়ি ফিরবেন ১২১ জন। বাকিদের পর্যায়ক্রমে ১৪ দিন পূর্ণ হলে ছাড়া হবে। ফলে তাদের ঈদের দিন কাটাতে হবে কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে। ঈদের দিন তাদের জন্য উন্নতমানের খাবার পরিবেশনসহ নানা উদ্যোগ নিয়েছে জেলা প্রশাসন। 

জানা গেছে, করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হলে বাংলাদেশ থেকে ভারতের সব সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়া হয়। এ সময় চিকিৎসা ও বাণিজ্যিক কাজে যাওয়া বাংলাদেশিরা আটকে যান ভারতে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে কোয়ারেন্টাইন থাকাসহ নানা শর্তে তারা দেশে প্রবেশের অনুমতি পান। এ সময় কয়েক দফায় মোট ২ হাজার ৮০০ জন ভারতফেরত নাগরিক যশোরের বেনাপোল বন্দর থেকে দেশে প্রবেশ করেন। যার মধ্যে ৫৩৬ জন খুলনায় আসেন।

খুলনা জেলা প্রশাসন ও সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা যায়, ১ মে থেকে ভারত থেকে আসা ব্যক্তিদের  কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করা হচ্ছে। খুলনার বিভিন্ন হোটেল, সরকারি-বেসরকারি ১৩ প্রতিষ্ঠানকে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার বানানো হয়েছে। সেখানে পুলিশ ও আনসার বাহিনীর সদস্যরা নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছেন। প্রতিটি সেন্টারের জন্য ম্যাজিস্ট্রেটও নিযুক্ত করা হয়েছে।

১ মে থেকে পর্যায়ক্রমে খুলনার ১৩ কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে ৫৩৬ জনকে রাখা হয়েছে। ১৪ দিন পূর্ণ না হওয়ায় এখন পর্যন্ত কেউই ছাড়পত্র পাননি। তবে যারা কোয়ারেন্টাইনে আছেন, তাদের করোনা শনাক্ত হয়নি।

খুলনার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ইউসুপ আলী বলেন, খুলনার বিভিন্ন স্থানে হোটেল ও সরকারি প্রতিষ্ঠান মিলে ১৩ কোয়ারেন্টাইন সেন্টার করা হয়েছে। যেখানে ৫ শতাধিক ভারতফেরত ব্যক্তি রয়েছেন। কোয়ারেন্টাইনে থাকা ব্যক্তিদের ১২১ জনের ১৪ দিন পূর্ণ হবে শুক্রবার রাতে। এদিন তাদের ছাড়পত্র দেওয়া হবে।

তিনি আরও বলেন, যারা কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে রয়েছেন, তাদের জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হবে।

খুলনার সিভিল সার্জন মো. নিয়াজ মাহমুদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, শুক্রবার প্রথম দফায় যারা এসেছিলেন, তাদের ছাড়পত্র দেবে প্রশাসন। এরপর ১৪ দিন যাদের পূর্ণ হবে পর্যায়ক্রমে ছাড়পত্র দেওয়া হবে।

মোহাম্মদ মিলন/এএম