ছাত্রদল কর্মী হত্যা মামলায় আ. লীগ নেতা গ্রেপ্তার
নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনে ছাত্রজনতার বিজয় মিছিলে নাশকতা চালিয়ে ছাত্রদল কর্মী মো. আসিফ হত্যার এজাহারভুক্ত আসামি আওয়ামী লীগ নেতা জহির উদ্দিনকে (৩০) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
শুক্রবার (৪ অক্টোবর) রাত ৯টায় জেলা শহর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত জহির উদ্দিন নোয়াখালী পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের আমির মিয়ার ছেলে ও ওই ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
বিজ্ঞাপন
র্যাব-১১ সূত্রে জানা যায়, আসন্ন দুর্গাপূজা ও সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিবেচনায় র্যাব সারাদেশে অভিযান পরিচালনা করছে। এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-১১, সিপিসি-৩, নোয়াখালীর একটি আভিযানিক দল নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে ৪ অক্টোবর রাত ৯টায় নোয়াখালী জেলার মাইজদী বাজার টোকিও ফুডের সামনে থেকে মো. আসিফ হত্যার চাঞ্চল্যকর মামলার অন্যতম এজাহারভুক্ত আসামি ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জহির উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ১৯ আগস্ট নিহত আসিফের বাবা মোরশেদ আলম নোয়াখালী জজকোর্টের বেগমগঞ্জ আদালতে মামলার আবেদন করেন। এতে নোয়াখালী-৪ (সদর-সূবর্ণচর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী ও নোয়াখালী-১ (চাটখিল-সোনাইমুড়ী) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এইচএম ইব্রাহিমকে হুকুমের আসামি করা হয়। এছাড়া ছাত্রলীগ, যুবলীগের ৩৯ নেতার নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ২৫০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
র্যাব-১১, সিপিসি-৩ নোয়াখালীর কোম্পানি কমান্ডার (ভারপ্রাপ্ত) সহকারী পুলিশ সুপার মো. গোলাম মোর্শেদ ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত বলেন, জহির উদ্দিন মামলার এজহারভুক্ত আসামি। তাকে গ্রেপ্তার করে সোনাইমুড়ী থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। শনিবার তাকে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হবে।
হাসিব আল আমিন/আরেক