মাগুরায় ৫৫৮ মণ্ডপে দুর্গাপূজা, চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি
আসছে বুধবার (৯ অক্টোবর) ষষ্ঠীর মধ্য দিয়ে শুরু হতে যাচ্ছে হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। সনাতন ধর্মের শাস্ত্র অনুযায়ী, প্রতিবছর শরৎকালে দুর্গাপূজা উদযাপন করা হয়। এ কারণে একে শারদীয় দুর্গোৎসবও বলা হয়ে থাকে।
এ উৎসবকে ঘিরে মাগুরা জেলার মণ্ডপগুলোতে চলছে প্রতিমা তৈরি ও সাজসজ্জার শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। শিল্পীদের নিপুণ হাতের ছোঁয়ায় ইতোমধ্যে মাটির কাজ শেষ করে চলছে রং তুলির কাজ। শিল্পীর রং তুলির আঁচড়ে গড়ে তোলা হচ্ছে দশভুজা দেবী দুর্গাসহ বিভিন্ন দেবদেবীর প্রতিমা।
বিজ্ঞাপন
এসময় দম ফেলানোর ফুরসত নেই শিল্পীদের। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের কাছে দেবী দুর্গা শক্তি ও সুন্দরের প্রতীক। প্রতিবছর অসুরের বিনাশে দেবী দুর্গা এই ধরাধামে আবির্ভূত হন। তাই সনাতন ধর্মাবলম্বীরা মনে করেন, সমাজ থেকে অন্যায় অবিচার গ্লানি দূর করার জন্যই এই পূজার আয়োজন করেন।
প্রতিমা তৈরির কারিগররা বলেন, প্রতিবছরই তারা অধীর আগ্রহে দেবী দুর্গার প্রতিমা তৈরির অপেক্ষায় থাকেন। পূজা শুরুর আর মাত্র একদিন বাকি। দম ফেলার সময় নেই। এর মধ্যেই দেবী দুর্গার প্রতিমা তৈরির কাজ শেষ হয়েছে। এখনও কিছু প্রতিমায় রঙের বাকি কেবল। আশা করি তা কালকের মধ্যে শেষ হবে।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন
মাগুরা পূজা উদযাপন পরিষদের তথ্যমতে, এ বছর জেলায় ৫৫৮টি মণ্ডপে পূজার আয়োজন চলছে। এরমধ্যে মাগুরা সদরে ১৮৩টি, মহম্মদপুরে ১০২টি, শালিখায় ১২০টি, শ্রীপুরে ১৩৬টি এবং পৌরসভায় ১৮টি পূজা মণ্ডপে অনুষ্ঠিত হবে দুর্গাপূজা। দশমীর দিনে আগামী রোববার (১৩ অক্টোবর) প্রতিমা বিসর্জনের মধ্যে দিয়ে পূজার সব আনুষ্ঠানিকতা শেষ হবে।
মাগুরা জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি বাসুদেব কুন্ডু জানান, এ বছর চার উপজেলায় ৫৫৮টি মণ্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হবে। নিরাপত্তার জন্য জেলা প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। তারা নিরাপদ ও নির্বিঘ্নে পূজা উদযাপনে সর্বোচ্চ সহযোগিতার কথা বলেছেন। একইসঙ্গে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল স্বেচ্ছাসেবকসহ সার্বিক সহযোগিতার কথা জানিয়েছে। আশা করি এবারের দুর্গাপূজা নিরাপদ ও নির্বিঘ্নে উদযাপন করতে পারব।
এদিকে শারদীয় দুর্গোৎসবে শান্তি-শৃঙ্খলা ও উৎসবের আমেজ বজায় রাখতে সেনাবাহিনী মাঠে রয়েছে। সেইসঙ্গে পূজা চলাকালীন গুজব রটনাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও সজাগ অবস্থায় রয়েছে বলে জানা গেছে।
তাছিন জামান/পিএইচ