ভাঙ্গা, সদরপুর ও চরভদ্রাসন উপজেলা নিয়ে গঠিত ফরিদপুর-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মজিবুর রহমান চৌধুরী ওরফে নিক্সনের ঘনিষ্ঠজন ও সহযোগী ফরিদপুর সদরের ডিক্রিরচর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান ওরফে মিন্টুকে (৪৫) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

শনিবার (৩০ নভেম্বর) বিকেলে ফরিদপরের নগরকান্দা উপজেলার তালমা ইউনিয়নের তালমার মোড় এলাকা থেকে ঢাকাগামী একটি যাত্রীবাহী বাস থামিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। মেহেদী হাসান ডিক্রিরচর ইউনিয়ন যুবলীগের আহ্বায়ক ছিলেন।

ফরিদপুর সদরে থেকেও মেহেদী হাসান নিক্সনের চ্যানেল রক্ষা করে চলতেন। এছাড়া ডিক্রিরচর এলাকায় পদ্মা নদী থেকে খনন যন্ত্র দিয়ে অবৈধ বালু তোলার দীর্ঘদিনের অভিযোগ রয়েছে মেহেদী হাসানের বিরুদ্ধে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ফরিদপুর কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদউজ্জামান বলেন, মেহেদী হাসানের বিরুদ্ধে ফরিদপুর কোতয়ালী থানায় হত্যা ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগে দুটি মামলা রয়েছে। তাকে হত্যা মামলায় আপাতত গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। 

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, হত্যা মামলার বাদী ডিক্রিরচর ইউনিয়নের আয়েজদ্দিন মাতুব্বরের ডাঙ্গী গ্রামের বাসিন্দা রুমন শেখ। ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে সিঅ্যান্ডবি ঘাট টোল প্লাজার সামনে বিএনপির সমর্থিত প্রার্থী চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফের পক্ষে পোস্টার টানানোর সময় আয়েজদ্দিন মাতুব্বরের ডাঙ্গী গ্রামের বাসিন্দা হিরু শেখকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় নিহত হিরুর ছেলে রুমন শেখ মিন্টুকে আসামি করে সম্প্রতি রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের সুবাদে ফরিদপুর কোতয়ালী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এছাড়া শহরের কমলাপুর মহল্লার বাসিন্দা আজাদ শেখ বাদী হয়ে মিন্টুকে আসামি করে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগে আরেকটি মামলা দায়ের করেছেন।

মিটুকে গ্রেপ্তারকারী কর্মকর্তা ফরিদপুর কোতয়ালী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) কবির আহমেদ বলেন, মেহেদী হাসানকে রোববার আদালতে সোপর্দ করা হবে। তাকে পুলিশের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতের অনুমতি চাওয়া হবে।

জহির হোসেন/আরকে