চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার গড়াইটুপিতে চুরি করে সরকারি গাছ কাটার অভিযোগে তিন ইউপি সদস্যসহ স্থানীয় এক বিএনপি নেতার নামে মামলা দায়ের হয়েছে।

সোমবার (২ ডিসেম্বর) চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের সার্ভেয়ার সামসুল আলম বাদী হয়ে দর্শনা থানায় মামলা দায়ের করেন।

এর আগে রোববার (১ ডিসেম্বর) দুপুরে খবর পেয়ে জেলা বন বিভাগ, জেলা পরিষদ ও স্থানীয় পুলিশ ক্যাম্পের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছালে  অভিযুক্তরা পালিয়ে যান। এরপরই গাছগুলো জেলা পরিষদের অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় জেলা পরিষদের সার্ভেয়ার সামসুল আলম গাছগুলো জব্দ করেন।  

মামলার আসামিরা হলেন, গড়াইটুপি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য আব্দুল হক ওরফে লিটু, সাইদ খোকন, হাফিজুর রহমান ও ইউনিয়ন বিএনপি যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাহাজুল ইসলাম। এছাড়া অজ্ঞাতনামা হিসেবে আরও ৩-৪ জনকে আসামি করা হয়েছে।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, চুয়াডাঙ্গার দর্শনা থানাধীন কালুপোল গ্রামস্থ কালুপোল হইতে গড়াইটুপি রাস্তার উভয় পাশে থাকা চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের মালিকানাধীন বেশকিছু শিশু এবং মেহগনি গাছ আছে। গত বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) অনুমানিক সকাল ৮টা থেকে গত রোববার (১ ডিসেম্বর) তারিখ দুপুর ২টার মধ্যে যেকোনো সময় উল্লেখিত আসামিরাসহ অজ্ঞাতনামা কয়েকজন চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের অনুমতি ব্যাতীত রাস্তার উভয় পাশে থাকা মোট ৮টি শিশু ও মেহগনি গাছ কেটে নিয়ে যায়। যাহা অনুমান মূল্য তিন লাখ টাকা।

অভিযুক্ত ইউপি সদস্য আব্দুল হক ওরফে লিটু বলেন, গত কয়েকদিন আগে চিত্রা নদীর পাড়ে গড়াইটুপি ইউনিয়ন পরিষদের নামে রেজিস্ট্রি জমিতে ইউনিয়ন পরিষদের অস্থায়ী কার্যালয়ের ভবন নির্মাণের কাজ শুরু হয়। এই পরিষদের দরজা জানালার জন্য সব ইউপি সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষেই গাছ কাটা হচ্ছিল। তবে বিষয়টি এতো দূর যাবে জানতাম না।

দর্শনা থানা পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) মুহম্মদ শহীদ তিতুমীর ঢাকা পোস্টকে বলেন, মামলা রুজু সম্পন্ন হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।

চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় আমরা অভিযুক্তদের শনাক্ত করতে পেরেছি। সোমবার মামলার এজাহার থানায় জমা দেওয়া হয়েছে।

আফজালুল হক/আরকে