হতাশায় শিশু সন্তানকে পানিতে চুবিয়ে হত্যা করেন বাবা
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে জুলফিয়ার জিহাদ (৬) নামে এক শিশুকে পানিতে ফেলে হত্যার ঘটনায় আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন বাবা জুবায়ের হাসান হিমেল (৩০)। বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন আদালত পুলিশের পরিদর্শক মো. কাইউম খান। বুধবার (১১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নূর মহসিনের আদালত তার জবানবন্দি গ্রহণ করেন। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
আসামি জুবায়ের হাসান হিমেল নরসিংদীর সাটির পরা ইউনিয়নের নগরকান্দি গ্রামের হানিফ মিয়ার ছেলে।
বিজ্ঞাপন
আসামি জুবায়ের হাসান হিমেলের বরাত দিয়ে তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. জহুরুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে জানান, ঘাতক বাবা জুবায়ের হাসান হিমেল তার ছেলের ভবিষ্যত নিয়ে হতাশাগ্রস্ত ছিলেন। এই হতাশা থেকেই তিনি তার শিশু সন্তান জুলফিয়ার জিহাদকে পানিতে চুবিয়ে হত্যা করেন।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার ঘাতক বাবার দেওয়া তথ্য মতে এশিয়ান হাইওয়ে সড়কের পাশে একটি ডোবার কচুরিপানার নিচ থেকে শিশু জুলফিয়ার জিহাদের মরদেহটি উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।
বিজ্ঞাপন
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ঘাতক বাবা জোবায়েরের সঙ্গে তার স্ত্রীর দীর্ঘদিন পারিবারিক কলহ চলে আসছিল। এরই সূত্র ধরে তার স্ত্রী তাকে ফেলে অন্যত্র চলে যায়। পরে ছেলে জুলফিয়ার জিহাদকে নিয়ে রূপগঞ্জের ভুলতা গাউছিয়া চলে আসেন। ছেলের ভরণপোষণ নিয়ে জটিলতা তৈরি হওয়ায় মানসিক বিকারগ্রস্ত হয়ে পড়েন তিনি। ছেলেকে বোঝা মনে হওয়ায় গত সোমবার দুপুরে তাকে পানিতে ফেলে হত্যা করেন। মঙ্গলবার বিকেল ৫টার দিকে ভুলতা পুলিশ ফাঁড়িতে এসে নিজেই ছেলেকে হত্যার কথা জানান। পরে তাৎক্ষণিক ভুলতা পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে ফায়ার সার্ভিস খবর দিলে এশিয়ান হাইওয়ে সড়কের মুন্সি পেট্রল পাম্পের সামনে একটি জলাবদ্ধ ডোবার মধ্যে কচুরিপানার নিচ থেকে জুলফিয়ার জিহাদের মরদেহ উদ্ধার করে।
আরএআর