সাবেক এমপি আসাদকে বহন করা প্রিজনভ্যানে ডিম-বালু নিক্ষেপ

রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান আসাদকে বহন করা প্রিজনভ্যান লক্ষ্য করে ডিম, ইট ও বালু নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুর আড়াইটার দিকে রাজশাহী আদলত চত্বরে এ ঘটনা ঘটে।

আসাদকে বহন করা প্রিজনভ্যান লক্ষ্য করে ডিম, ইট ও বালু নিক্ষেপের ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে দেখা গেছে, আসাদকে নিয়ে প্রিজনভ্যান আদালত চত্বরে আসলে লোকজন ঘিরে ধরে। এ সময় পুলিশ তাদের সরিয়ে দিয়ে প্রিজন ভ্যান থেকে আসাদকে নামিয়ে আদালতে নিয়ে যায়। আদালতে শুনানি শেষে আবার আসাদকে কড়া নিরাপত্তায় প্রিজনভ্যানে তোলা হয়। এ সময় বেশ কয়েকজন প্রিজনভ্যানে লাথি, ডিম, ইট ও বালু নিক্ষেপ করেন।

জানা গেছে, এদিন সাবেক সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান আসাদকে আরও দুটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে করা মামলা দুটির তদন্ত কর্মকর্তাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে রাজশাহীর মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-১ এর বিচারক ফয়সাল তারেক এ আদেশ দেন। মামলা দুটিতে গ্রেপ্তার দেখানোর পর আসামিপক্ষের আইনজীবী ইব্রাহিম হোসেন জামিনের আবেদন করেছিলেন। তবে শুনানি শেষে আদালত জামিন আবেদন নাকচ করেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, নতুন যে দুটি মামলায় আসাদকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে সেগুলো বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে নগরের বোয়ালিয়া থানায় দায়ের হয়েছে। একটি মামলার বাদীর নাম মো. রোকনুজ্জামান। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার ওপর হামলার ঘটনায় ২৫ সেপ্টেম্বর তিনি মামলাটি করেন। অপর মামলার বাদীর নাম আবদুর রশিদ ফকির। ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার ওপর হামলার অভিযোগে ২৮ নভেম্বর তিনি মামলাটি দায়ের করেন। দুটি মামলা তদন্ত করছেন রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) দুজন উপপরিদর্শক (এসআই)।

রাজশাহী মহানগর পুলিশের আদালত পরিদর্শক মাহমুদুল হাসান জানান, দুটি মামলাতেই এজাহারভুক্ত আসামি সাবেক এমপি আসাদুজ্জামান আসাদ। তদন্ত কর্মকর্তাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আসামিকে আদালতে আনা হয়েছিল। আদালত তাকে মামলা দুটিতে গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দিয়েছেন। পাশাপাশি আদালত তার জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করেছেন।

প্রসঙ্গত, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত ৬ অক্টোবর রাজশাহীর মোহনপুর থানার একটি মামলায় ঢাকায় গ্রেপ্তার হন আসাদুজ্জামান আসাদ। মোহনপুর থানার আরেকটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখাতে গত ৫ ডিসেম্বর তাকে আদালতে তোলা হয়েছিল।

শাহিনুল আশিক/আরএআর