চাঁপাইনবাবগঞ্জে দুই কিশোর হত্যায় জড়িতদের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন
চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে রায়হান ও মাসুদ নামে দুই কিশোর হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) বিকেলে উপজেলার মল্লিকপুর বাজার এলাকায় নিহতের স্বজন ও এলাকাবাসীরা এই মানববন্ধন করেন।
মানববন্ধনকারীরা টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-গোমস্তাপুর মহাসড়ক অবরোধ করেন এবং প্রায় দুই ঘণ্টা পরে পুলিশ ৭২ ঘণ্টার মধ্যে আসামিদের গ্রেপ্তারের আশ্বাস দিলে তারা কর্মসূচি শেষ করে মহাসড়ক ছেড়ে চলে যান।
বিজ্ঞাপন
নিহত রায়হান এর বড় ভাই আলী আকবর বলেন, আমার স্নেহের ছোটো ভাই মো. রায়হান আলীর খুন নিয়ে অনেক গুজব ছড়ানো হচ্ছে। তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে, আমার ছোট ভাই নাকি ছাত্রলীগ কর্মী এবং জয় বাংলা স্লোগান দেওয়ার জন্য তাকে হত্যা করা হয়েছে। এই বিষয় দুইটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন এবং গুজব। আমার ছোট ভাই কোনো প্রকার রাজনীতির সাথে ছিল না। সে পঞ্চম শ্রেণিতে পড়া একটা ছোট শিশু। তাই তার নামে এমন গুজব ছড়িয়ে ন্যায় বিচার পেতে বাধা সৃষ্টি না করার জন্য সবাইকে অনুরোধ করছি।
মানববন্ধনে নিহত রায়হান আলীর পিতা আব্দুর রহিম বলেন, আমার ছেলে কোনো অপরাধ করেনি। আমার ছেলের বাড়ি খোলসি তাই তারা আমার ছেলেকে জবাই করে দিয়েছি। আমি আমার ছেলের হত্যার বিচার চাই।
বিজ্ঞাপন
মাসুম আলীর পিতা এজাবুল হক বলেন, আমার ছেলে পলিটেকনিকে পড়াশোনা করতো। এছাড়া বাড়িতে আসলে সে আমার কৃষি কাজে সহযোগিতা করতো। আমার ছেলে অনেক মেধাবী ও ভালো ছিল। আমি আমার ছেলের হত্যাকারীদের বিচার চাই। যারা খুনি তাদের ফাঁসি চাই।
এ সময় চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, সদর সার্কেল, মো. ইয়াসির আরাফাত নাচোলের মল্লিকপুরে উপস্থিত হয়ে বিক্ষুব্ধ জনতাকে শান্ত করেন। তাদের দাবিগুলো শোনেন। পরে তিনি বলেন, আমরা হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেপ্তার চেষ্টা করছি। ইতোমধ্যে আমরা দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছি। আপনারা দাবি করেছেন ৭২ ঘণ্টার মধ্যে আসামিদের গ্রেপ্তারের। আপনাদের দাবি অনুযায়ী আমরা অতি দ্রুত আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা করব।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার রাতে নাচোল উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের মল্লিকপুর গ্রামে মহান বিজয় দিবসের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে ছুরিকাঘাতে দুইজন নিহত ও চারজন আহত হন।
আশিক আলী/এমএ