রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যদের থেকে দুটি ভারতীয় মহিষ ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগে উঠেছে স্থানীয় বিএনপি ও যুবদলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে।

এ ঘটনায় শনিবার (১৮ জানুয়ারি) রাত দেড়টায় বিজিবির রাজশাহীর ১ ব্যাটালিয়নের রাজাবাড়ি বিশেষ ক্যাম্পের হাবিলদার মো. শাহ আলম বাদী হয়ে ১২ জনকে আসামি করে গোদাগাড়ী থানায় মামলা দায়ের করেছেন। ওই দিন সকালে মহিষ দুটি ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটে।

বিজিবির মামলায় আসামিরা হলেন— গোদাগাড়ী উপজেলার নাজিরপুর গ্রামের মো. মুকুল (৫৫), তার ছেলে হাসান (২৮), দেওপাড়া ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য ও ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সভাপতি বিয়ানাবোনা গ্রামের মো. আক্কাশ (৫৯), তার জামাতা মো. জীবন (৩৩), ৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মোল্লাপাড়া গ্রামের মো. বাবলু (৫০), তার ছেলে মো. ডলার (৩২), ৯ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নয়ন (৩৫), বিজয়নগর গ্রামের হামিদ (৩৫), মো. জনি (৩৫), তার ভাই মো. টনি (৩৩)। জনি ও টনি দেওপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আবদুল হাই টুনুর ছেলে। বিয়ানাবোনা গ্রামের মো. জনি (৪০) ও পবা উপজেলার গহমাবোনা গ্রামের সিজার (৩০)।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, বিজিবি সদস্যরা খবর পান যে নাজিরপুর গ্রামের গরু-মহিষের ব্যবসায়ী মুকুল ভারত থেকে চোরাপথে দুটি মহিষ এনে বাড়ির পাশের জঙ্গলে রেখেছেন। এমন খবরে বিজিবি সদস্যরা অভিযানে যান। তখন মুকুল কৌশলে পালিয়ে যান। মুকুলকে না পেলেও বিজিবি সদস্যরা মহিষ দুটি জব্দ করে রাজাবাড়ী বিশেষ ক্যাম্পে আসছিলেন। এ সময় পথে রাজাবাড়ী এলাকায় বিএনপির নেতাকর্মীরা দেশীয় অস্ত্র এবং লাঠিসোঁটা নিয়ে অতর্কিতভাবে বিজিবি সদস্যদের পথ রোধ করেন। তারা হুমকি দেন যে, মহিষ ছেড়ে না দিলে বিজিবি সদস্যদের লাশ ফেলে দেওয়া হবে। একপর্যায়ে তারা অতর্কিতভাবে বিজিবি সদস্যদের ধাক্কা দেন, টেনে-হিঁচড়ে মহিষ দুটি ছিনিয়ে নেন। পরে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে বিজিবি একটি মামলা দায়ের করে।

ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্তরা আত্মগোপনে থাকায় তাদের বক্তব্য পাওয়া সম্ভব হয়নি।

এ বিষয়ে গোদাগাড়ী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রুহুল আমিন বলেন, বিজিবির সদস্যদের থেকে ভারতীয় মহিষ ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় মামলা হয়েছে। মামলার বাদী হাবিলদার মো. শাহ আলম। মামলায় সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে। বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে। আমরা ছিনিয়ে নেওয়া মহিষগুলো উদ্ধারসহ আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

এআইএস