সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান হেলাল উদ্দীন কারাগারে
চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট হেলাল উদ্দীনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
২০২২ সালে সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ড. আ.ন.ম. এহসানুল হক মিলনের ইফতার মাহফিলে ভাঙচুর ও চাঁদা দাবির ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় বুধবার (২২ জানুয়ারি) কচুয়া আমলি আদালতে জামিন চাইতে গেলে তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। পরে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তন্ময় কুমার দাস জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠান।
বিজ্ঞাপন
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী চাঁদপুর জজ কোর্টের পিপি অ্যাডভোকেট কোহিনুর বেগম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
মামলার এজাহারে সূত্রে জানা যায়, গত ২৬ আগস্ট ২০২৪ রাতে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর, সাবেক এমপি ড. সেলিম মাহমুদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক হেলাল উদ্দীনসহ ৮৯ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত ৫শ’ জনকে আসামি করে চাঁদপুরের কচুয়া থানায় একটি মামলা করা হয়। উপজেলার গোহট দক্ষিণ ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের জিন্নাত আলীর ছেলে মতিউর রহমান বাদী হয়ে এ মামলাটি করেন।
বিজ্ঞাপন
মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০২২ সালের ২৫ এপ্রিল চাঁদপুরের কচুয়া সদর দক্ষিণ ইউনিয়নের বদরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ড. আনম এহসানুল হক মিলন ও তার স্ত্রী কেন্দ্রীয় মহিলা দলের সহ-সভাপতি নাজমুন নাহার বেবী ইফতার ও দোয়া অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। ওইদিন বিকেল সাড়ে ৫টার সময় আওয়ামী লীগ সমর্থিত ৪০/৫০ জন ব্যক্তি ড. আনম এহসানুল হক মিলনের গাড়ি ও অনুষ্ঠানের প্যান্ডেল ভাঙচুর করে এবং ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। তখন অতর্কিত এলোপাতাড়ি মারধর করে এবং আসামিরা অস্ত্র, পিস্তল, রিভলভার ও শটগান দিয়ে আক্রমণ করে ২৭ জনকে আহত করে। আহতরা গৌরীপুর, মতলব ও হাজীগঞ্জ সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা গ্রহণ করেন।
চাঁদপুর জজ কোর্টের পিপি অ্যাডভোকেট কোহিনুর বেগম বলেন, এই মামলায় অ্যাডভোকেট হেলাল উদ্দীন উচ্চ আদালত থেকে ৮ সপ্তাহের জামিনে ছিলেন। তবে তিনি উচ্চ আদালতে জামিনে থাকাকালীন নির্ধারিত সময়ে আদালতে হাজির হননি। বুধবার আদালতে জামিন চাইতে গেলে আদালত থাকে জেলহাজতে পাঠান।
আনোয়ারুল হক/এমএ