বিএনপির এক পক্ষের মানববন্ধনে আরেক পক্ষের হামলা
নোয়াখালীতে ঠিকাদারি কাজে বাধা, হামলা-ভাঙচুরের প্রতিবাদে আয়োজিত বিএনপির এক পক্ষের মানববন্ধন-সমাবেশে আরেক পক্ষের লোকজন হামলা চালিয়েছে। এতে সাংবাদিকসহ অন্তত ৫জন আহত হয়েছেন।
গতকাল দুপুরে নোয়াখালী প্রেসক্লাবের সামনে হামলার এ ঘটনা ঘটে। এ সময় হামলাকারীরা গণমাধ্যমকর্মীদের লক্ষ্য করে এবং নোয়াখালী প্রেসক্লাবে ব্যাপক ইট পাটকেল মারতে থাকে। এ সময় সড়কে থাকা একটি যাত্রীবাহী মাইক্রোবাসও ভাঙচুর করা হয়।
বিজ্ঞাপন
জানা যায়, দুপুর ১২টার দিকে নোয়াখালী প্রেসক্লাবের সামনে সাবেক ছাত্রদল নেতা ও ঠিকাদার আবদুল করিম মুক্তার নেতৃত্বে একটি মানববন্ধন চলছিল। মূলত নোয়াখালী শহর বিএনপির সভাপতি আবু নাছেরের বিরুদ্ধে মুক্তার ঠিকাদারি কাজে বাধা, স্কেভেটর মেশিন ভাঙচুর ও শ্রমিকদের কুপিয়ে আহত করার প্রতিবাদে এই মানববন্ধন চলছিল। কর্মসূচির শেষ দিকে হঠাৎ করে আবু নাছেরের ছোট ভাই জুয়েলের নেতৃত্বে ২৫-৩০ জন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মানববন্ধনে হামলা চালায়। এ সময় হামলাকারীদের ইটপাটকেলের আঘাতে সাংবাদিকসহ অন্তত ৫ জন আহত হন। ভাঙচুর করা হয় যাত্রীবাহী একটি মাইক্রোবাস। খবর পেয়ে সুধারাম মডেল থানা পুলিশ ও সেনাবাহিনীর একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
এ বিষয়ে আব্দুল করিম মুক্তা বলেন, আমি ঠিকাদার ইসমাইল হোসেনের কাছ থেকে নোয়াখালী পৌরসভার ৫ ওয়ার্ডের কাজী কলোনির হাউজিং এস্টেটের আওতাধীন মাঠ ভরাটের জন্য চুক্তি করি। ওই মাঠে মাটি ভরাটের কাজ চলমান অবস্থায় নোয়াখালী পৌরসভা বিএনপি সভাপতি আবু নাছেরের লোকজন ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করেন। আমি চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে আমার চলমান কাজের লোকজনের ওপর হামলা করে ও মাটি ভরাটের কাজে ব্যবহৃত এস্কেভেটর ও পিকআপ ভাঙচুর করে চলে যায়।
বিজ্ঞাপন
আব্দুল করিম মুক্তা আরও বলেন, প্রতিবাদে আমরা মানববন্ধন করতে গেলে কর্মসূচির শেষের দিকে হঠাৎ করে আবু নাছেরের ছোট ভাই জুয়েলের নেতৃত্বে ২৫-৩০ জন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মানববন্ধনে হামলা চালায়। এ সময় হামলাকারীদের ইটপাটকেলের আঘাতে সাংবাদিকসহ অন্তত ৫ জন আহত হন। একটি যাত্রীবাহী মাইক্রোবাস ভাঙচুর করা হয়। আমরা ন্যায় বিচার দাবি করছি।
আরও পড়ুন
এদিকে অভিযোগ অস্বীকার করে শহর বিএনপির সভাপতি আবু নাছের ঢাকা পোস্টকে বলেন, ঠিকাদারি কাজে হামলা কিংবা মানববন্ধনে হামলা; দুটোর কোনোটাই তার জানা নেই। তবে যদি আমার লোকজন এসব করে থাকে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।
এ বিষয়ে সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ প্রেরণ করা হয়েছে। বর্তমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
হাসিব আল আমিন/এনএফ