ঘন কুয়াশায় ঢাকা পড়েছে পর্যটন নগরী কুয়াকাটা
ঘন কুয়াশায় ঢাকা পড়েছে উপকূলীয় অঞ্চল পটুয়াখালীর পর্যটন নগরী কুয়াকাটা। জানুয়ারির শেষ দিকে মাঘের শীতকে মনে করিয়ে দিতেই যেন উপকূলীয় এলাকা ঢেকে দিতে চাইছে কুয়াশা। কুয়াকাটায় বেড়াতে আসা পর্যটকরা ঘন কুয়াশার কারণে অনেকেই হোটেলে অবস্থান করছেন। অধিকাংশ পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরাও তাড়াতাড়ি করে দোকানপাট বন্ধ করে বাসায় ফিরেছেন। রাস্তায় দেখা গেছে ট্যুরিস্ট ও থানা পুলিশের একাধিক টিম টহল দিচ্ছে।
শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) সন্ধ্যার পর থেকেই কুয়াকাটায় কুয়াশা নামতে শুরু করে। রাতের গভীরতার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ে এর ঘনত্ব। কুয়াশায় ঢাকা পড়ায় একদিকে যেমন কুয়াকাটার সড়কগুলোয় যান চলাচলের স্বাভাবিক গতি ব্যাহত হচ্ছে, অন্যদিকে ছিন্নমূল মানুষগুলোর ব্যাপক সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছে কুয়াকাটায় বেড়াতে আসা পর্যটকরা।
বিজ্ঞাপন
এদিকে রাস্তায় ছোট-বড় সব ধরনের যানবাহনকেই স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক কম গতিতে চলতে দেখা গেছে। গাড়ির হেডলাইটের আলো কুয়াশা ভেদ করে মাত্র কয়েক গজ দূরে গিয়ে পড়ছে। কুয়াশায় ঢাকা পড়েছে সড়কের রোড লাইটগুলো। রাত ১২টার পর থেকে উপজেলার কলাপাড়া, বালিয়াতলী, বাভলাতলা, চাপলী, ধুলাস্বর, চাপলি, মিস্রিপাড়া, আলীপুর, মহিপুর, হাজীপুর, নীলগঞ্জ, কুয়াকাটাসহ উপকূলের অধিকাংশ এলাকা ঢেকে গেছে ঘন কুয়াশায়।
বিজ্ঞাপন
কুয়াকাটায় বেড়াতে আসা নজরুল ইসলাম দম্পতি ঢাকা পোস্টকে বলেন, কুয়াকাটায় এর আগেও একাধিকবার এসেছি, এখানকার ভালো লাগার বিষয়টি হচ্ছে সারারাত সৈকতে বসে সমুদ্র উপভোগ করা এবং সমুদ্রের পাশে বসে সামুদ্রিক মাছ ফ্রাই এবং বারবিকিউ খাওয়া কিন্তু আজ ঘন কুয়াশার জন্য কিছুই করতে পারলাম না। কারণ এত পরিমাণ কুয়াশা নেমেছে যে রাস্তা চিনতে পারছি না আমরা।
ইজিবাইক চালক জাফর গাজী বলেন, আমি সব সময় রাতের বেলা গাড়ি চালিয়ে থাকি কিন্তু আজকে এত পরিমাণ ঘন কুয়াশা, রাস্তায় গাড়ি চালানো খুবই ভয়াবহ হবে। আর আজকে রাস্তাঘাটে তেমন বেশি লোকজনও নেই। তাই এখন বাসায় চলে যাবো।
এ বিষয়ে মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তরিকুল ইসলাম বলেন, হঠাৎ ঘন কুয়াশার জন্য পুরো এলাকা ঢেকে গেছে। তবে রাস্তায় এবং বিভিন্ন চেকপোস্টে আমাদের একাধিক টিম দায়িত্ব পালন করছে। পর্যটক ও স্থানীয় সাধারণ মানুষের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করবো আমরা
এসএম আলমাস/এএমকে