নির্বাচন কমিশনার (ইসি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ((অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেছেন, বর্তমান নির্বাচন কমিশন রংবিহীন, চেহারাবিহীন একটি প্রতিষ্ঠান। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যা যা করা প্রয়োজন, আমরা তাই তাই করব ইনশাআল্লাহ। আমরা আমাদের সন্তানদের প্রতি ফোঁটা রক্তের ঋণ পরিশোধ করব ইনশাআল্লাহ।

মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) বিকেল ৩টার দিকে দিনাজপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে সদর উপজেলার ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম পরিদর্শন ও মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 

আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য দেশের সকল প্রতিষ্ঠান নির্বাচন কমিশনের চাহিদা মতো কাজ করে থাকে। বিশেষ করে মাঠ পর্যায়ের প্রশাসন, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। আমাদের সামনে উপবিষ্ট যারা আছেন তাদের একটা বড় অংশ প্রিজাইডিং অফিসার, পোলিং অফিসার ইত্যাদি দায়িত্ব পালন করে থাকেন। সবার একনিষ্ঠ আন্তরিক ইচ্ছা এবং দায়িত্ববোধ ছাড়া নির্বাচন অনুষ্ঠান সুষ্ঠভাবে সম্ভব নয়।

তিনি আরও বলেন, আমরা একটি পরিবর্তিত পরিস্থিতির ওপর দাঁড়িয়ে আছি। যেখানে আমাদের সামনে একটি অসাধারণ সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। নতুন বাংলাদেশের উন্মেষ । গণতান্ত্রিক উত্তরণে এবং পাশাপাশি মানুষের অধিকার নিশ্চিতকরণে। সুষ্ঠু নির্বাচনের পূর্ব শর্তই হচ্ছে সুষ্ঠু, সুন্দর ও বিতর্কবিহীন কোনো ধরনের সন্দেহ ছাড়া একটি ভোটার তালিকা।  বর্তমান নির্বাচন কমিশন দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই প্রথম সভায়ই আমরা সিদ্ধান্ত নিই এবারের ভোটার তালিকার হালনাগাদ কার্যক্রমটি আমরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে করব। বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার হালনাগাদ করা এটা কিন্তু বাধ্যবাধকতা নয়, নির্বাচন কমিশন আইন অনুযায়ী প্রতি বছর পহেলা জানুয়ারি পর্যন্ত যারা ১৮ বছর বয়সপ্রাপ্ত হন। তারা ২ ফেব্রুয়ারি  খসড়া ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়ে যান।  তারপর আপিল, আপত্তি, নিষ্পত্তি হয়ে যাওয়ার পর ২ মার্চে গিয়ে তারা চূড়ান্ত  ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবেন।

নির্বাচন কমিশনার বলেন, এবারের ভোটার তালিকায় মূল টার্গেট হচ্ছে আমাদের তরুণ জনগণ। যাদের অনেকের বয়স ৩৩/৩৪ বছর কিন্তু এখন পর্যন্ত তারা ভোটের স্বাদ পাননি। 

প্রধান উপদেষ্টার উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন,  আমাদের তরুণ সমাজ ১০০ পারসেন্টের কাছাকাছি ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট প্রদান করবে। এটা তার প্রত্যাশা, আমাদেরও প্রত্যাশা। এবারের ভোটার তালিকায় যেন আমাদের তরুণরা বাদ না পড়ে সেটা তথ্য সংগ্রহকারীরা নিশ্চিত করবেন।

এ সময় দিনাজপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মাসুম, দিনাজপুরের জেলা প্রশাসক রফিকুল ইসলামসহ নির্বাচন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। 

সোহাগ গাজী/আরএআর