জোয়ারের পানিতে ভেসে গেছে পুকুরের মাছ গোখাদ্য

ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে নোয়াখালীর বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার ৮ ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে। এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। বুধবার (২৬ মে) বেলা ১১টার দিকে শুরু হওয়া জোয়ারে পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পায়।

এতে চরকিং, তমরুদ্দি, সোনাদিয়া, নলচিরা, হরণী, চানন্দি, সুখচর ও নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। প্লাবিত হওয়া এসব ইউনিয়নে মানুষের দুর্ভোগ চরমে উঠেছে। জোয়ারের পানিতে ভেসে গেছে পুকুরের মাছ, গোখাদ্য।

নিঝুমদ্বীপের ইউপি চেয়ারম্যান মেহরাজ  উদ্দিন ঢাকা পোস্টকে বলেন, সকাল থেকে থেমে থেমে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি ও দমকা হাওয়া বইছে। দুপুরের দিকে জোয়ারের তীব্রতা খুবই বেশি ছিল। স্বাভাবিকের চেয়ে ছয় থেকে সাত ফুট বেশি উচ্চতায় জোয়ারের পানি বেড়িবাঁধের ওপর দিয়ে গেছে। এতে নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়নের ৬০ হাজার লোক জোয়ারের পানিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
 
তিনি আরও বলেন, উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশনা অনুযায়ী দুর্যোগকবলিত আশ্রয়কেন্দ্রে থাকা ৫০০ জনকে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বাজারে ও সড়কে অবস্থানকারী মানুষের মধ্যে ৩ হাজার প্যাকেট ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। প্রতিটি প্যাকেটে রয়েছে আড়াই কেজি চাল, ৫০০ গ্রাম চিড়া ও মুড়ি ৫০০ গ্রাম।

চরঈশ্বর ইউপি চেয়ারম্যান আলা উদ্দিন আজাদ বলেন, দুপুরের দিকে জোয়ারের তীব্রতায় একটি বেড়িবাঁধ ভেঙে যায়। কয়েক জায়গায় বেড়িবাঁধের ওপর দিয়ে পানি প্রবেশ করে। এতে প্রায় ৯শ পরিবার ক্ষতিগ্রস্থ হয়। আমি উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় ৯৫০ পরিবারকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে শুকনো খাবার ও ত্রাণসামগ্রী পৌঁছে দিয়েছি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইমরান হোসেন বলেন,  ইয়াসের প্রভাবে বিভিন্ন ইউনিয়নে বেড়িবাঁধ উপচে পানি ঢুকে পড়েছে। এসব এলাকার লোকজনকে আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে আসতে স্থানীয় ইউপির চেয়ারম্যান ও  সিপিপির সদস্যদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে পানি নামতে শুরু করেছে।

নোয়াখালী জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম খান ঢাকা পোস্টকে বলেন, ঘূর্ণিঝড় ইয়াস ও পূর্ণিমার প্রভাব এক হয়ে জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এজন্য উপকূলীয় অঞ্চলে সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

হাসিব আল আমিন/এমএসআর