রংপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত মাহমুদুল হাসান মুন্না হত্যা মামলায় যুবলীগ নেতা মুরাদ খানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৯টার দিকে মহানগরীর রেলস্টেশন বাবুপাড়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে রংপুর মেট্রোপলিটন (আরপিএমপি)।

গ্রেপ্তার হওয়া মুরাদ খান ২৮ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। তিনি নগরীর স্টেশন বাবুপাড়া শাজাপুরের মরহুম মোস্তাক আলমের ছেলে।  

আরপিএমপি কমিশনার মো. মজিদ আলী জানান, গ্রেপ্তার এড়াতে পাঁচ আগস্টের পর থেকে মুরাদ খাঁন আত্মগোপনে ছিল। শনিবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে যুবলীগ নেতা মুরাদ খানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সে মুন্না হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত ৫৪ নম্বর আসামি। 

পুলিশ কমিশনার আরও জানান, রংপুর মহানগরীতে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন দমনে গুলিসহ যেসব হামলার ঘটনা ঘটেছে, তাতে মাস্টারমাইন্ড ছিলেন মুরাদ খান। 

ওই সব ঘটনার গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানতে তাকে রিমান্ডে নিতে আদালতে আবেদন করা হতে পারে বলে জানান তিনি।

এদিকে জানা গেছে, রংপুরে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে মাহমুদুল হাসান মুন্না নিহতের ঘটনায় সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ ও তার ছেলেসহ ১২৮ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা রয়েছে। গত বছরের ২৯ আগস্ট রংপুর মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কোতোয়ালী আমলি আদালতে মামলাটি করেন মুন্নার বাবা আব্দুল মজিদ।

এ মামলায় গত ৩০ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার রাতে রংপুর মহানগরীর সেন্ট্রাল রোডে পোস্ট অফিস সংলগ্ন গলিতে ভাগ্নের বাসা থেকে সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদকে গ্রেপ্তার করা হয়। নুরুজ্জামান আহমেদ লালমনিরহাট-২ আসনের সাবেক এই সংসদ সদস্য। বর্তমানে তিনি পাঁচ দিনের পুলিশি রিমান্ডে রয়েছেন। 

এর আগে গত ২৮ জানুয়ারি মঙ্গলবার রাতে নগরীর স্টেশন বাবুপাড়ায় অভিযান চালিয়ে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের নেতা আল-আমিন হোসেনকে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করে পুলিশ। একই মামলায় গত বছরের ২৭ অক্টোবর সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদের ছোট ভাই শামসুজ্জামান আহমেদ ভুট্টুকে লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ বাজার থেকে গ্রেপ্তার করে লালমনিরহাট জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।

ফরহাদুজ্জামান ফারুক/এমএসএ