নির্বাচন কমিশনার (ইসি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেছেন, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে আমাদের সামনে অনেকগুলো সুযোগ এসেছে। যারা এতদিন ধরে গণতন্ত্রের জন্য লড়াই সংগ্রাম করেছেন, সুষ্ঠু নির্বাচন চেয়েছেন, ভালো নির্বাচন চেয়েছেন, আমরা এখন তাদের কাছে দাবি করতে পারি একটা সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য আমাদের সহযোগিতা করার। 

রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে নাটোর জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কর্মসূচি উপলক্ষ্যে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

নির্বাচন কমিশনার বলেন, যেসব নিয়ামক বা উপাদান এই পরিবর্তনের সূত্রপাতের পেছনে কাজ করেছে তার ভেতরে অন্যতম হচ্ছে আমাদের ভোট ব্যবস্থা ভেঙে পড়া। ফলে ভোট ব্যবস্থার প্রতি মানুষের চরম আস্থাহীনতা কাজ করছিল। ছাত্র-জনতার রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে বর্তমান নির্বাচন কমিশন দায়িত্ব গ্রহণ করেছে একটি ভালো নির্বাচন উপহারের প্রত্যয় নিয়ে। 

তিনি বলেন, যদি নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হয়, বিতর্কিত হয় তাহলে এটার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকল ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়, ভূলুণ্ঠিত হয়। তাই নির্বাচন ব্যবস্থার সঙ্গে যারা জড়িত সবাইকে ভাবতে হবে আমি দায়ী। আমরা যদি একে অপরের প্রতি অঙ্গুলিহেলন করি তাহলে এই সমস্যার সমাধান হবে না। 

আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, পর্দাশীলতার কারণে কিছু নারী ছবি তুলতে চান না, যদিও এটি ধর্মীয়ভাবে সংবেদনশীল ব্যাপার। আমি ব্যক্তি মতের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েই বলছি, এখানে মনে হয় আরও সচেতনতা বৃদ্ধির অবকাশ আছে। বিশেষ করে একজন নারীকে যদি বিদেশে চিকিৎসার জন্য যেতে হয় তাহলে তো তার একটি পাসপোর্ট লাগবে। আর আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে পাসপোর্টে একটি  ছবি ছাড়া, পাসপোর্ট নিয়ে যাবেন কীভাবে। আমি জানি না, এটার ব্যাখ্যা কী আছে, কীভাবে সচেতনতা বৃদ্ধি করা যাবে। যদিও এর সংখ্যা কম।

জেলা প্রশাসক আসমা শাহীনের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন, পুলিশ সুপার মারুফাত হোসাইন, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম প্রমুখ।

গোলাম রাব্বানী/আরএআর