পটুয়াখালীর বাউফলে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় সেখানকার পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) রাত পৌনে ৮টার দিকে পৌর শহরের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাংলাবাজার চৌমাথার কাছে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

আহতদের মধ্যে রয়েছেন—পৌর ছাত্রদলের আহ্বায়ক আব্দুল্লাহ আল ফাহাদ, ৭নং ওয়ার্ডের ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সাজিদ (২০), ৬নং ওয়ার্ড ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক অন্তর (২১), ৮নং ওয়ার্ড ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক রেদোয়ান (২০), বরিশাল মহানগর ছাত্রদলের সদস্য ইলিয়াস (২৭) ও ছাত্রদল নেতা কাওসার (২৭) বাউফল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

আহত ছাত্রদল নেতা আব্দুল্লাহ আল ফাহাদ বলেন, ৮ ফেব্রুয়ারি আমাদের সমাবেশে সফল করার লক্ষ্যে নাজিরপুর ইউনিয়নে পোস্টার লাগাতে যাই। সেখানে ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এনায়েত হোসেন খানের নেতৃত্বে তার ছেলেরা আমাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালান। তখন তিনি বলেন, তাকে দাওয়াত করা হয়নি, এখানে কোনো পোস্টার লাগানো যাবে না।

প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, সাবেক এমপি শহিদুল আলম তালুকদারের সমর্থকরা জনসভার পোস্টার লাগানোর সময়, কেন্দ্রীয় নেতা এ কে এম ফারুক আহমেদ তালুকদারের সমর্থকদের একটি দল অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। সংঘর্ষে গুরুতর আহতরা বাউফল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আব্দুর রফ বলেন, এখন পর্যন্ত সাতজনকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। আঘাতের চিহ্ন যা পেয়েছি লিখে রেখেছি।

অন্যদিকে, নাজিরপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এনায়েত হোসেন খান এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ফাহাদের নেতৃত্বে একটি মোটরসাইকেল মহড়ার সময় তার ছেলেদের ওপর হামলা করছে।

বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি, তদন্ত) আতিকুল ইসলাম বলেন, আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি বিএনপির প্রোগ্রামের পোস্টার লাগানোকে কেন্দ্র করে একটি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। অভিযোগের সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরিফুল ইসলাম সাগর/এএমকে