জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম মাছুম বলেছেন, সরকার সবচেয়ে বড় ভুল করেছে ৫ আগস্টের পর দিন স্বৈরাচারের সকল কিছু বাতিল ঘোষণা না করে। সরকার যদি আন্দোলনকারীদের দিয়ে রাষ্ট্র গঠন করতো, আন্দোলনকারীদের দিয়ে সব কিছু সাজানো হতো, তাহলে প্রতিবিপ্লবীরা, আওয়ামী লীগের দালালরা এখন হৈ চৈ করতে পারত না। 

শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে মৌলভীবাজার এম সাইফুর রহমান অডিটোরিয়ামে জামায়াতে ইসলামী মৌলভীবাজার জেলা শাখা আয়োজিত রুকন সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 

এটিএম মাছুম বলেন, যারা মানুষের অধিকার অন্যায়ভাবে হরণ করেছে, বছরের পর বছর মানুষের অধিকার থেকে বঞ্চিত করেছে, জামায়াত সেই সব মানুষের অধিকার পাই পাই করে ফিরিয়ে দেবে। দোকান দখল, প্রতিষ্ঠান দখল করা জামায়াতের কাজ নয়।

তিনি বলেন, অন্য দলের মতো দোকান দখল করা, প্রতিষ্ঠান দখল করা এই ধরনের নিকৃষ্ট কাজে জামায়াতের কেউ শরিক হবে না। করতেও দেওয়া হবে না। যারা এসব কাজে জড়িত হবে তাদের জামায়াতে কোনো স্থান নেই। আমরা নিজের স্বার্থকে জলাঞ্জলি দিয়ে মানুষের স্বার্থকে প্রাধান্য দেব। জামায়াতের রুকনরা এই সমস্ত কবীরা গুনাহের কাজে জড়িত হবে না।

এটিএম মাছুম বলেন, ১৮ বছর যেই কাজটা এই দেশের রাজনৈতিক দলগুলো করতে পারে নাই, দৃঢ়ভাবে পথে-ময়দানে অবস্থান করতে পারে নাই, স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে পারে নাই। ৫ আগস্ট এবং এর আগে পরে ছাত্রজনতা যখন এই দৃঢ়তা প্রদর্শন করল, ময়দানে আসল, এক দাবিতে ময়দানে অবস্থান করল, তখন আল্লাহর ফেরেশতারা নাজিল হয়ে গেল। লাখ লাখ মানুষ পথে নেমে এলো। রাস্তাঘাটে হাঁটার মতো জায়গা ছিল না। আপনি ময়দানে দৃঢ়ভাবে অবস্থান করবেন আল্লাহর সাহায্য আসবেই। সেই দিন জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের একজনও নেতাকর্মী ঘরে বসে ছিল না, শিশুসহ আবাল বৃদ্ধ-বণিতা সকলেই রাজপথে নেমে এলো। যার জন্য আল্লাহর সাহায্য এলো এবং স্বৈরাচারের পতন হলো।
 
জেলা জামায়াতের আমির ইঞ্জিনিয়ার শাহেদ আলীর সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি মো. ইয়ামীর আলীর পরিচালনায় রুকন সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন মৌলভীবাজার-৩ আসন থেকে জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী ও সাবেক জেলা আমির আব্দুল মান্নান, সাবেক জেলা আমির দেওয়ান সিরাজুল ইসলাম মতলিব, নায়েবে আমির মাওলানা আব্দুর রহমান, জেলা জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য ও মৌলভীবাজার-১ আসনে সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী মাওলানা আমিনুল ইসলাম, সহকারী সেক্রেটারি শাহ আলাউদ্দিন ও সৈয়দ তারেকুল হামিদ।

আশরাফ আলী/আরএআর