শিশুকে ৭ তলা থেকে ফেলে দেওয়ার হুমকি নার্সের
শেরপুর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট সদর হাসপাতাল
অসুস্থতাজনিত কারণে কান্না করায় শিশুকে ৭ তলা থেকে ফেলে দেওয়ার হুমকির অভিযোগ পাওয়া গেছে এক নার্সের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত ওই নার্সের নাম আছমা বেগম। তিনি শেরপুর সদর হাসপাতালের সপ্তম তলায় শিশু ওয়ার্ডে সিনিয়র স্টাফ নার্স হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।
শুক্রবার (২৮ মে) সন্ধ্যায় শেরপুর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট সদর হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী ওই শিশু শহরের মোবারকপুর মহল্লার মোহর উদ্দিনের ছেলে।
বিজ্ঞাপন
ভুক্তভোগী শিশুর মা চম্পা বেগম অভিযোগ করে বলেন, গত বুধবার (২৬ মে) রাতে ঠান্ডাজনিত কারণে শিশুসন্তান নাবেল হাসানকে সদর হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি করি। শুক্রবার সন্ধ্যায় হঠাৎ করে নাবেল বেশি কান্নাকাটি শুরু করে। পরে সিনিয়র স্টাফ নার্স আছমা বেগমের কাছে গেলে তিনি আমাকে ওষুধ কিনতে পাঠান।
চম্পা বেগম আরও বলেন, পরে তিনি দ্রুত বাইরে থেকে ওষুধ নিয়ে আসেন। এদিকে শিশুটির কান্না আরও বাড়তে থাকে এবং ছেলের কষ্ট সহ্য করতে না পেরে তিনি বারবার নার্স আছমাকে অনুরোধ করেন।
বিজ্ঞাপন
একপর্যায়ে শিশু নাবেলকে ওষুধ না দিয়ে রাগান্বিত হয়ে ৭ তলা থেকে ছুঁড়ে ফেলে দেওয়ার প্রকাশ্যে হুমকি দেন ওই নার্স। ঘটনার পর অন্য অভিভাবকরা প্রতিবাদ জানালে কৌশলে পালিয়ে যান ওই নার্স বলে তিনি জানান।
সদর হাসপাতালে আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. খাইরুল কবির সুমন ঢাকা পোস্টকে বলেন, বিষয়টি যদি সঠিক হয় তাহলে অবশ্যই তা নিন্দনীয়। ঘটনার সত্যতা থাকলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ ব্যাপারে জেলা সিভিল সার্জন ডা. একেএম আনোয়ারুর রউফ বলেন, হাসপাতালের কোনো নার্স যদি এমন ঘটনা ঘটিয়ে থাকে তবে তার বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জাহিদুল খান সৌরভ/এমএসআর