আব্দুল আউয়াল মিন্টু
হয়রানির শিকার হয়নি বিএনপির এমন কোনো নেতাকর্মী নেই
বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু বলেছেন, আমাদের বিএনপির বিরুদ্ধে প্রহসনমূলক প্রায় ১ লাখ ৬০ হাজার মামলা করা হয়েছে। এসব মামলায় আমাদের প্রায় ৪২ থেকে ৬০ লাখ নেতাকর্মী আসামি ছিল। আমরা ১৭ বছর ধরে আন্দোলন সংগ্রাম করলেও একদল আছে ১৯৭১ সাল থেকে তাদের ইতিহাস আমরা সবাই জানি। তারা এমন নাচানাচি করছে রাস্তাঘাটে, মনে হয় সবই তারা। বাংলাদেশ ও গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠার বিরুদ্ধে যদি কেউ ষড়যন্ত্র করলে সে ষড়যন্ত্র রুখে দেওয়ার ক্ষমতা বিএনপির আছে।
সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুর আড়াইটার দিকে বরগুনা পৌরসভার পাবলিক লাইব্রেরির হল রুমে জেলা বিএনপি আয়োজিত বরিশাল বিভাগীয় টিম প্রধানের সঙ্গে জেলা বিএনপির সাংগঠনিক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
আব্দুল আউয়াল মিন্টু বলেন, ১৭ বছর ধরে বিএনপি একটা উদার রাজনৈতিক দল হিসেবে দেশে গণতান্ত্রিক সরকার ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করার জন্য অনেক নির্যাতনের শিকার হয়েছে। আমাদের বিএনপির এমন কোনো নেতাকর্মী নেই যারা হয়রানির শিকার হয়নি অথবা জেলে যায়নি। দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে ওই একটাই লক্ষ্য উদ্দেশ্য নিয়ে আমরা আন্দোলন সংগ্রাম করেছি। এতে আমরা বিভিন্নভাবে অত্যাচারিত, লাঞ্ছিত ও বঞ্চিত হয়েছি। আমরা দেশে একটা সুষ্ঠু এবং গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে একটা গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা করতে চাই। যে সরকার জনগণের কাছে থাকবে দায়বদ্ধ, হবে দায়িত্বশীল এবং জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণ করবে।
তিনি বলেন, আমরা দৃঢ়তার সঙ্গে বিশ্বাস করি কোনো অনির্বাচিত সরকার কখনোই জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণ করতে পারে না। এখন পর্যন্ত মানুষ যত সামাজিক হাতিয়ার আবিষ্কার করেছে তার ভেতরে সব থেকে বড় সামাজিক হাতিয়ার হচ্ছে নির্বাচন। আর এ নির্বাচনের মাধ্যমে দায়িত্বশীল, কর্তব্যশীল এবং গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা করা যায়। স্বৈরাচার সরকার যারা যখনই ক্ষমতায় এসেছে এদেশের মানুষের স্বাধীনতা হরণ করেছে, দেশের অর্থ লুণ্ঠন করেছে এবং জনগণের অধিকার হরণ করেছে। তবে ওই স্বৈরাচার সরকারকে বিতাড়িত করে আমরা প্রাথমিক বিজয় অর্জন করেছি। কিন্তু যে কারণে আমরা ১৭ বছর আন্দোলন সংগ্রাম করেছি, অত্যাচারিত লাঞ্ছিত হয়েছি, সেটার সফলতা এখনো আমাদের আসেনি। আমাদের আন্দোলন সংগ্রাম অব্যাহত রয়েছে। প্রয়োজনে এ আন্দোলন আরও গতিশীল করব। যদি আমরা আমাদের লক্ষ্য উদ্দেশ্য পূরণ করতে ব্যর্থ হই, তাহলে আমাদের আন্দোলন আরও জোরদার করতে হবে।
বিজ্ঞাপন
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে আব্দুল আউয়াল মিন্টু বলেন, তারা (অন্তর্বর্তীকালীন সরকার) যদি নির্বাচন দেয় সেটাও আমাদের একটা আন্দোলন সংগ্রাম। নির্বাচনে আমাদের যারা নমিনেশন পাবে তাদের ঐক্যবদ্ধ সংগঠন পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। যাতে সংগঠনের মাধ্যমে প্রতিটি মানুষের কাছে গিয়ে ভবিষ্যতে বিএনপি কী করতে চায়, কীভাবে উন্নয়ন করতে চায় এবং মানুষের জীবনমানের কী কী উন্নয়ন করতে চায় এ কথা বলতে পারে। আমাদের প্রার্থীকে জয়যুক্ত করতে মানুষকে বুঝাতে সক্ষম হতে পারে। বিএনপি একটি উদার রাজনৈতিক দল হিসাবে জনগণের প্রতি আমাদের যে অঙ্গীকার তা পূরণ করতে হলে অবশ্যই আমাদের দলকে নির্বাচিত হতে হবে। জোর করে ক্ষমতায় যাওয়া যাবে না। আমরা চাই জনগণ যাতে আমাদের ভোট দেয়। তাহলেই আমরা নির্বাচিত হয়ে সরকার গঠন করতে পারব। এজন্যই আমাদের দরকার ঐক্যবদ্ধ সংগঠন। যে সংগঠনে থাকবে একতা ও ভ্রাতৃত্ববোধ।
আব্দুল আলীম/আরএআর