বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেছেন, আমরা জানি আওয়ামী লীগের নেতারা কোথায় লুকিয়ে আছেন বা আশ্রয় নিয়েছেন। তবে আমরা হামলা করতে চাই না, কারণ তাহলে আওয়ামী লীগের সঙ্গে আমাদের পার্থক্য স্পষ্ট করা সম্ভব হবে না।

মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৩টায় শহীদ আলাউদ্দিন শিশু পার্ক মাঠে অনুষ্ঠিত এ জনসভায় তিনি এসব কথা বলেন। 

এসময় তিনি আরও বলেন, বিএনপি বৃহৎ জনসমর্থনের একটি সংগঠন। এখানে কিছু দুষ্টু লোক থাকতেই পারে, তবে দলের অনৈতিক কার্যকলাপ রুখতে গত সাত মাসে দেড় হাজারের বেশি নেতাকর্মীকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

তিনি অভিযোগ করেন, বিএনপির বহু নেতাকর্মী আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন। কুমিল্লায় যুবদলের এক কর্মী যৌথ বাহিনীর হাতে নিহত হলেও তারা কোনো প্রতিবাদ মিছিল করেননি। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, এই সরকার ছাত্র-জনতার সমর্থনের সরকার। তাদের বিরক্ত করা বিএনপির উচিত হবে না, বরং সহায়তা করাই দায়িত্ব, যা আমরা করে যাচ্ছি।

বিএনপি নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, যত বড় নেতা বা জনপ্রিয় ব্যক্তিই হই না কেন, যদি বিএনপির পরিচয় হারিয়ে যায়, তবে বাজারে আমাদের মূল্য ১০ টাকাও থাকবে না।

সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশাররফ হোসেন, বরিশাল বিভাগের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আক্কাস কুদ্দুসুর রহমান ও মাহবুবুল হক নামু, সহ-দপ্তর সম্পাদক মুহাম্মদ মুনির হোসেন এবং জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হাসান মামুন।

পটুয়াখালী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুর রশিদ চুনু মিয়া ও সদস্য সচিব স্নাংশু সরকার কুট্টিসহ স্থানীয় নেতারাও সভায় বক্তব্য রাখেন। তারা দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি, দুর্নীতি ও দমন-পীড়নের বিরুদ্ধে কঠোর আন্দোলনের ঘোষণা দেন।

এসময় সভাস্থল ব্যানার, ফেস্টুন ও দলীয় স্লোগানে মুখরিত ছিল। বিএনপি নেতারা সরকারের নানা কর্মকাণ্ডের তীব্র সমালোচনা করেন। তবে পুরো অনুষ্ঠান শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের তৎপরতা ছিল চোখে পড়ার মতো।

রায়হান/এমএএস