নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলায় চাঁন মিয়া (২৭) নামের এক সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালককে হত্যার পর থেকেই পলাতক ছিলেন নাজিম উদ্দিন (৩৬)। এরই মধ্যে কেটে গেছে ১৩ বছর। মামলার রায়ে যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তও হয়েছেন তিনি। বিভিন্ন সময়ে ছদ্মবেশে পালিয়ে বেরিয়েছেন দেশের বিভিন্ন স্থানে। তবে শেষ রক্ষা হলো না তার। অবশেষে গ্রেপ্তার হয়েছেন এ আসামি।

বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে কেরানীগঞ্জ মডেল এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব। শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে তাকে জেলা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হবে। 

যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত নাজিম উদ্দিন বেগমগঞ্জ উপজেলার তুলান্তারা গ্রামের ছিদ্দিক উল্যাহ মাস্টার বাড়ির মাহাবুবুল হকের ছেলে।

র‍্যাব-১১ সূত্রে জানা যায়, ২০১১ সালের ৯ নভেম্বর ভুক্তভোগী চাঁন মিয়াকে হত্যা করে তার সিএনজি ও মোবাইল লুট করে নিয়ে যাওয়ায় তার স্ত্রী নুরজাহান বেগম নিজে বাদী হয়ে সোনাইমুড়ি থানায় এজাহার দায়ের করেন। পরবর্তী সময়ে হত্যা মামলা হিসেবে রুজু হয়। এরপর বিজ্ঞ আদালত নাজিম উদ্দিনসহ ১২ জন আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করেন। নাজিম উদ্দিন দীর্ঘদিন গ্রেপ্তার এড়ানোর লক্ষ্যে ঢাকা জেলার বিভিন্ন থানা এলাকায় পলাতক ছিলেন। র‍্যাব-১১, সিপিসি-৩, নোয়াখালী নাজিম উদ্দিনের অবস্থান জানতে পেরে কেরানীগঞ্জ মডেল থানাধীন খোলামোড়া বাহারালিয়া ইসলামী মার্কেট এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে নাজিমকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।

র‍্যাব-১১, সিপিসি-৩, নোয়াখালীর কোম্পানি কমান্ডার (ভারপ্রাপ্ত) সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মিঠুন কুমার কুণ্ডু ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ২০০৯ সালে রুহুল আমিন হত্যাকাণ্ডের পর থেকে আসামি নাজিম উদ্দিন পলাতক ছিলেন। আদালত তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। তিনি গ্রেপ্তার এড়াতে দীর্ঘ ১৩ বছর ছদ্মবেশে ছিলেন। তাকে সোনাইমুড়ী থানার মাধ্যমে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হবে। 

হাসিব আল আমিন/আরকে