জুলাইয়ে ছাত্র আন্দোলনে শহিদ মুন্সীগঞ্জের আলামিনের মরদেহ সাত মাস পর কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ পারভেজের নেতৃত্বে উত্তরা পশ্চিম থানা ও শ্রীনগর থানা পুলিশের তত্ত্বাবধানে শ্রীনগরের বালাসুর কাশেমনগর কবরস্থান থেকে সোমবার ( ১০ মার্চ) দুপুরে মরদেহটি তোলা হয়।    

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ১৯ জুলাই ঢাকার উত্তরায় গুলিতে নিহত হন আলামিন। উত্তরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে সেখানে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।

ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী তানজিন তিশার সহকারী হিসেবে কাজ করতেন শহিদ আলামিন। ঢাকায় বসবাস করতেন তিনি। পরবর্তীতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই  গত ২০ জুলাই শ্রীনগর উপজেলার কাশেমনগর কবরস্থানে তার গ্রামের বাড়িতে তাকে দাফন করা হয়।

আলামিনের বাবা আইয়ুব খলিফা জানান, অভিনেত্রী তানজিন তিশার সহকারী হিসেবে কাজ করতেন আলামিন। সেই সুবাদে তিনি ঢাকায় বসবাস করতেন। তবে তার গ্রামের বাড়ি মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার কাশেমনগরে। ঘটনার পরবর্তীতে ৯ ডিসেম্বর ২০২৪ সালে নিহতের বড় ভাই বাদল খলিফা বাদী হয়ে উত্তরা পশ্চিম থানায় মামলা করেন। 

সোমবার (১০ মার্চ) দুপুরে ময়নাতদন্তের জন্য বাবার সম্মতিতে কবর থেকে তোলা হয় শহিদ আলামিনের মরদেহ। মরদেহ তোলার সময় শ্রীনগর উপজেলার সিভিল সার্জনের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা মেডিকেল অফিসার ড. মুহাম্মদ ইব্রাহীম।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) শাহীন মাহমুদ জানান, ময়নাতদন্তের জন্য কবর থেকে সাত মাস পর শহিদ আলামিনের মরদেহ তোলা হয়েছে। মরদেহ উত্তোলনের পর ময়নাতদন্তের জন্য মুন্সীগঞ্জ জেনারেল  হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। 

ব.ম শামীম/আরএআর