নোয়াখালীতে স্কয়ারের ওষুধ বয়কট, চিকিৎসকদের কর্মবিরতি
নোয়াখালীতে স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসের সকল ওষুধ বয়কট ঘোষণা ও ম্যাটস, ডিএমএফ ইস্যুতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে এবং ৫ দফা দাবিতে নোয়াখালী মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী, ইন্টার্ন ও চিকিৎসকদের আন্দোলন কর্মসূচি কঠোর হচ্ছে।
মঙ্গলবার (১১ মার্চ) সকালে হাসপাতালের সকল আউটডোর সেবা কার্যক্রম বন্ধ রেখেছে শিক্ষার্থী কর্মবিরতি, বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন। এর আগে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের সামনে শিক্ষার্থীদের সাথে সংহতি প্রকাশ করে অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেয় পোস্ট গ্রাজুয়েট ট্রেইনি চিকিৎসক, বিসিএস স্বাস্থ্য ক্যাডারের চিকিৎসকরা। এসময় ডিএমএফদের এক অনুষ্ঠানে স্কয়ারের স্পন্সর করা এবং তাদের অযৌক্তিক দাবির পক্ষ নেওয়ায় স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসকে বয়কটের পাশাপাশি অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়।
বিজ্ঞাপন
সমাবেশে এমবিবিএস ও বিডিএস ডিগ্রিপ্রাপ্ত ব্যতিত কেউ নামের পূর্বে ডাক্তার পদবি ব্যবহার করতে না পারা, আদালতে চলমান এ সংক্রান্ত আইন ও জনস্বাস্থ্য বিরোধী সকল রিট ১২ মার্চের মধ্যে নিস্পত্তি করা, ডিপ্লোমা চিকিৎসক নামে বিভ্রান্তিকর কোনো পদবির প্রচলন না করা, রেজিস্ট্রার্ড চিকিৎসক ছাড়া অন্য কেউ স্বাধীনভাবে প্রাইভেট প্রাকটিস করতে পারবে না মর্মে প্রজ্ঞাপন জারি করা, আগামী ৭ কর্মদিবসের মধ্যে মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট কোর্স কারিকুলাম সংস্কার কমিটি গঠন করে তাদের কোর্স কালিকুলাম পুনঃনির্ধারণ ও মানহীন সকল ম্যাটস বন্ধে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা, জনগণের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণের জন্য শুন্যপদ পর্যাপ্ত সংখ্যক চিকিৎসক নিয়োগ এবং চিকিৎসকদের বিসিএসের বয়সসীমা ৩৪ বছরে উন্নীত করা, অনতিবিলম্বে চিকিৎসক সুরক্ষা আইন প্রনয়ণ ও বেসরকারি চিকিৎসকদের জন্য সুনির্দিষ্ট বেতন কাঠামো প্রণয়ন করার দাবি জানান।
এ সময় বক্তারা বলেন, চিকিৎসক সমাজের পেশাগত মর্যাদা ও অস্তিত্বের প্রশ্নে প্রায় ২০ দিন ধরে আন্দোলন চলছে। অথচ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে যৌক্তিক এ বাস্তবায়নে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। ফলে চিকিৎসক সমাজ হতাশ হয়ে কঠোর আন্দোলনে নামতে বাধ্য হয়েছে। অবিলম্বে ৫ দফা দাবি বাস্তবায়ন করা না হলে আউটডোরের পর সকল বিভাগের সেবা বন্ধ করে আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবে চিকিৎসকরা।
বিজ্ঞাপন
এদিকে ৫ দফার আন্দোলনকে ঘিরে সকল আউটডোর সেবা কার্যক্রম বন্ধ রেখেছে চিকিৎসকরা। এতে দূর-দূরান্ত থেকে আসা রোগীরা চিকিৎসা সেবা না পেয়ে ফিরে গেছেন। এছাড়া গত ২০ ফেব্রুয়ারি থেকে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে আন্দোলনে থাকা নোয়াখালী মেডিকেল শিক্ষার্থীদের সাথে কর্মবিরতি পালন করছে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা।
এ সময় বক্তারা আরও বলেন, স্বাস্থ্যখাতে অসঙ্গতি দূরীকরণে চিকিৎসক সমাজের ন্যায্য দাবি আদায়ের লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলো। অবিলম্বে কর্তৃপক্ষ কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করলে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। এছাড়াও স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসের সকল ওষুধ বয়কট ও স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে। যদিও তারা একটি বিবৃতি দিয়েছে আমরা সেই বিবৃতিকে ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করছি।
এসময় ডা. ফরিদুল ইসলাম ফরহাদ, ডা. ইসরাফুল হক নিশাতসহ নোয়াখালী মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
হাসিব আল আমিন/এমএএস